অনলাইন ডেস্ক
রবিবার (১৯ জুলাই) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় দুপুরে শহর থেকে দুই ঘণ্টা দূরত্বে জানাজার পর স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় ফাহিমের পরিবার ছাড়াও বন্ধু-বান্ধব ও প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনে নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে ফাহিমের খণ্ডবিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিউইয়র্ক পুলিশ বলছে, মরদেহ উদ্ধারের আগের দিন সোমবার ফাহিমকে খুন করা হয়। এরপর খুনী হত্যার আলামত মুছে ফেলতে তার মালিকের (ফাহিম) ক্রেডিটকার্ড ব্যবহার করে ২৩ ম্যানহাটন স্ট্রিট থেকে ফ্লোর ও ঘর পরিষ্কারের সামগ্রী কেনেন। পরেরদিন লাশটি খণ্ডবিখণ্ড করতে সে আবার ওই অ্যাপার্টমেন্টে যায়।
গোয়েন্দারা জানান, হত্যাকারী কালো রঙের স্যুট, কালো মাস্ক পরে এসেছিলেন। হাতে ছিল একটি ব্যাগ। সে ফাহিমের পেছন পেছন ওই অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকেছিল।
সম্প্রতি ফাহিমের কাছ থেকে প্রায় এক লাখ ডলার চুরি করেন তার ব্যক্তিগত সহকারী টেরেস ডেভোন হাসপিন (২১)। তবে এ ঘটনায় কোনো আইনি ব্যবস্থা না নিয়ে হ্যাসপিনকে কিস্তিতে টাকা ফেরত দেয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন ফাহিম।
ফাহিমকে হত্যার ঘটনায় বিশ্ব মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যেই তিনি পশ্চিমা মিডিয়ায় টেক জায়ান্ট হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই নিজের প্রযুক্তি প্রতিভার প্রমাণ দেন এ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ৩৩ বছর বয়সী ফাহিম চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের হরিসপুরের আইবিএমের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সালেহ আহমেদের ছেলে।
ফাহিম সালেহর জন্ম ১৯৮৬ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে পড়াশোনা করতেন ফাহিম। নাইজেরিয়া আর কলম্বিয়াতে তার দুটি রাইড শেয়ারিং অ্যাপ কোম্পানি রয়েছে। পেশায় ওয়েবসাইট ডেভলেপার ফাহিম অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল গ্লোবাল নামক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানেরও উদ্যোক্তা ছিলেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা