অনলাইন ডেস্ক
উহান ইয়াংজি নদীর তীরে অবস্থিত। এই নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় এরই মধ্যে অধিবাসীদের সাবধানে থাকতে বলা হয়েছে। গত সোমবার এখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এ কারণে নদনদীর পানি অত্যধিক মাত্রায় বাড়তে থাকে। এ কারণে ২৮ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। মারা যায় দেড় শতাধিক মানুষ। হুবেই প্রদেশের পাশাপাশি তিব্বত ও চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জিয়াংজি প্রদেশের পয়াং লেক বিপত্সীমার আড়াই মিটার ওপরে অবস্থান করছে। এ কারণে আশপাশে বেশিরভাগ এলাকাই তলিয়ে গেছে। সাংহাইর টাই লেকেরও একই অবস্থা। প্রতি বছরই এ ধরনের মৌসুমী বৃষ্টিপাত হলেও এবারে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হচ্ছে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে যে, বন্যার কারণে জরুরি পণ্য সরবরাহে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।
মার্কিন মেডিক্যাল সাপ্লাই প্রতিষ্ঠান ডিমল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল আইনহর্ন বলেন, ‘আমরা উহান এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি সরবরাহ করে থাকি। কিন্তু এবারের বন্যায় আমাদের এগুলো পৌঁছাতে বেশ সমস্যা হচ্ছে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, বন্যার কারণে বিভিন্ন স্থানে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নড়বড়ে হয়ে গেছে। বিশেষ করে নির্মাণ, স্টিল এবং সিমেন্টে ব্যবসায় বেশি ক্ষতি হচ্ছে। তারা বলেন, করোনার ধকল সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও এখন বন্যা তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা