অনলাইন ডেস্ক
করোনাকালে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে শেষ বিদায় জানাতে সীমিত পরিসরে বনানী কবরস্থানে আসেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের এ সংগ্রামী নেতাকে বিদায় জানাতে বনানী কবরস্থানে আসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।সাহারা খাতুনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর ফার্মগেট বায়তুশ শরফ জামে মসজিদে।
সেখান থেকে বনানী কবরস্থানে দ্বিতীয় দফায় জানাজা শেষে দাফন করা হয়।প্রসঙ্গত, নানা জটিলতা নিয়ে অসুস্থ সাহারাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ব্যাংককে নেওয়া হয়েছিল, ভর্তি করা হয়েছিল বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।৭৭ বছর বয়সী সাহারা খাতুন জ্বর, অ্যালার্জির সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় আক্রান্ত। গত ৩ জুন ভোর ৪ টা ৪০ মিনিটে শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ইউনাইডেট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
ব্যাংক যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিলো।১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ ও মাতার নাম টুরজান নেসা। সাহারা খাতুন তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় এলে প্রথমে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে সেখান থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে।সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক মহিলা আইনজীবী সমিতি ও আন্তর্জাতিক মহিলা জোটের সদস্য।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা