ম্যাচ শেষে লিওনেল মেসি যেন ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। পেনাল্টি পায়নি আর্জেন্টিনা, এমন দাবি করেছিলেন। ঠিক ভাবে ‘ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর)’ এর ব্যবহার করা হয়নি, মেসির আক্ষেপ ছিল সেখানেও। দলের অধিনায়কের সঙ্গে একমত হয়েছে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেডারেশন। ব্রাজিলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ন্যায্য রেফারিং হয়নি, কনমেবলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ করেছে তারা।
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, ‘ম্যাচ চলাকালীন সময়ে ইকুয়েডরের রেফারি রডি জামব্রানোর বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ন্যায্য ছিল না। ফলে জাতীয় দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ আর্জেন্টিনার দাবি, স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো ও ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডি, এই দুজনকে দুবার পেনাল্টি বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। পেনাল্টি দেওয়া তো দূর, ‘ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর)’ এর সাহায্যও নেননি রেফারি। মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আগুয়েরোর পড়ে যাওয়ার ঠিক পর পরই ম্যাচের দ্বিতীয় গোল করে ফেলেন ব্রাজিল স্ট্রাইকার রবার্তো ফিরমিনো। এই দুটি ঘটনায় ভিএআর এর সাহায্য না নেওয়ার কারণে পেনাল্টি পায়নি আর্জেন্টিনা, এমনটাই মনে করছে তারা। পেলে হয়তো ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতো, ‘এই দুটি ঘটনায় ভিএআর ব্যবহার না করা নিশ্চিতভাবেই ম্যাচের ফলাফল পরিবর্তন করেছে।’
এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রডি জামব্রানোর মতো অযোগ্য রেফারির হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া ঠিক হয়নি বলে মানছে আর্জেন্টিনা, ‘এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ চালানোর মতো কৌশলগত দক্ষতা জামব্রানোর নেই।’
ম্যাচ রেফারি জামব্রানোর সঙ্গে ভিএআর রেফারি লেওদান গঞ্জালেসের কী কথোপকথন হয়েছে ম্যাচের মধ্যে, এটার অডিও ক্লিপ চেয়েছে আর্জেন্টিনার ফেডারেশন। ভিএআর ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো দল অসংগতির অভিযোগ করলে তারা চাইলে রেফারির সঙ্গে ভিডিও রেফারির কথোপকথন শুনতে পারে, আর এই সুযোগটাই নিতে চাচ্ছে আর্জেন্টিনা।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সেমিফাইনাল দেখতে সেদিন হাজির হয়েছিলেন ব্রাজিলের প্রধানমন্ত্রী জাইর বোলসোনারো। একে তো ব্রাজিলেই খেলা হচ্ছে, তার ওপর সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলা দেখতে এসেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতির কারণেই রেফারিরা ম্যাচের সিদ্ধান্তগুলো ব্রাজিলের পক্ষে দিতে বাধ্য হয়েছে বলে মনে করছে আর্জেন্টিনার ফেডারেশন, ‘তিনি (বোলসোনারো) যে এসেছেন, সেটা ম্যাচ অফিশিয়াল, খেলোয়াড়, দর্শক সবাই দেখেছে। ম্যাচের ফল তাঁর উপস্থিতির কারণে প্রভাবিত হতে পারে। ম্যাচের মাঝখানে তিনি “ল্যাপ অফ অনার”ও নিয়েছিলেন।’
এমন অন্যায্য রেফারিংয়ের প্রভাব আর্জেন্টিনার নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের ওপর পড়বে বলে মনে করছে দেশটির ফেডারেশন, ‘আর্জেন্টিনা স্কোয়াডের আশি শতাংশ খেলোয়াড় এই প্রথমবারের মতো টুর্নামেন্টটা খেলতে এসেছে। তারা প্রত্যেকেই চূড়ান্ত পেশাদারি। তবে এটাও সত্যি কথা, দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ে কোনো ইতিবাচক ধারণা নিয়ে তারা নিজ নিজ ক্লাবে ফিরতে পারবে না।’
NB:This Post is copied from Prothomalo.com
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা