অনলাইন ডেস্ক
আক্রান্তের হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত-পাকিস্তানের পেছনে থাকলেও সংক্রমণ হারে এশিয়ার অর্ধশতাধিক দেশের শীর্ষে এখন বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১২ মে) দুপুর অবধি নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৯৬৯ জন, যা সর্বোচ্চ এবং মারা গেছে ১১ জন। মারা গেছেন ঢাকা সিটিতে ৫ জন, চট্টগ্রামে ২ জন, নারায়ণগঞ্জে ১ জন, নরসিংদীতে ১ জন ও সিলেটে ১ জন।
এ নিয়ে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫০ জনে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬ হাজার ৬৬০ জনে। সুস্থ হয়েছে ২৪৫ জন গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬ হাজার ৮৪৫টি।
নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬ হাজার ৭৭৩টি। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের গতিতে সপ্তাহ খানেক আগেও এশিয়ার হটস্পট ছিল পাকিস্তান। তবে গত কয়েকদিনে পাকিস্তানকে টপকে একলাফে শীর্ষে উঠে যায় ভারত। আর এখন প্রতিবেশী সবাইকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে বাংলাদেশ।
যদিও গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার মৃত্যুর সংখ্যা একই রয়েছে ১১ জনে। কিন্তু হার তো কমেনি। অথচ বিশ্বের অনেক দেশে যখন মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমতির দিকে।বাংলাদেশে এই মৃত্যু ও আক্রান্তের জন্য দায়ী করা হয়েছে গার্মেন্টস খুলে দেওয়া ও ঢিলেঢালা লকডাউনকে।এছাড়া ৫ লাখের বেশি প্রবাসী দেশে ফিরেছেন।
এবং প্রত্যেকদিন প্রবাসীরা দেশে ফিরছেন।এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বয়ং জাহিদ মালেকও। সপ্তাহখানেক আগে দেশে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া স্বীকার করে তিনি বলেছেন, এর থেকে খুব সহজে নিস্তার মিলবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদ সামনে বিধায় এখন স্বাভাবিকভাবেই মার্কেট খোলা হয়েছে।
দেশের প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান খাত গার্মেন্টস খোলা হয়েছে। বিদেশি ক্রেতাদের অর্ডার বাতিল হলে হারানো বাজার ফিরে পেতে দু:সাধ্য হয়ে দাঁড়াবে।গার্মেন্টস খুলে যাওয়ায় কাজ হারানোর শঙ্কায় গ্রাম মানুষ দলে দলে ঢাকায় ছুটছেন। বাস ও অন্যান্য যানবাহন বন্ধ থাকায় তারা বাইসাইকেল, অটো, সবজিবাহী ট্রাক এমনকি হেটেই ঢাকা পৌঁচ্ছাছেন।
কাজেই সংক্রমণ ও মৃত্যু যে বৃদ্ধি পাবে, এটি ধরেই নেওয়া যায়।তদুপরি ধরে নিতে জীবন ও জীবিকা দুটোই পাশাপাশি চলছে। বেঁচে থাকার জন্য অর্থের প্রয়োজন।রেকর্ড পরিমাণ আক্রান্তের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশ উঠে এসেছে ৩৪ নম্বরে।
প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান আর ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে মাত্র দুমাসেই এশিয়ার হটস্পটে পৌঁছে গিয়েছে। জনঘনত্ব ও আক্রান্তের হারে সংক্রমণের এই সূচক ভয়ংকরভাবেই স্পষ্ট।
মানুষের চলাচল যত বাড়বে, করোনা ভাইরাস-এর সংক্রমণের ঝুঁকি ততই বেশি হবে বলে আগেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন। এখানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। তারপর থেকে প্রতিদিনই আক্রান্তের নতুন রেকর্ড গড়ছে বাংলাদেশ। গতকাল সোমবারই প্রথমবারের মতো করোনা সংক্রমণের সংখ্যা একদিনে হাজার ছাড়িয়েছে।
শুরুর দিকে প্রথম চার সপ্তাহে আক্রান্ত সংখ্যা ছিল ২১৮ জন। মৃত্যু ২০ জন। দ্বিতীয় মাসের শুরু থেকেই আক্রান্ত বাড়তে শুরু করে একশ, দুইশ, তিনশ-এই হারে। সংক্রমণের দ্বিতীয় মাসের তৃতীয় সপ্তাহের প্রথম দিনই আক্রান্ত পাঁচশ ছাড়িয়ে যায়।
বাংলাদেশের তুলনায় বিদেশে করোনা পরীক্ষার হার তিনগুণের বেশি। গণপরিবহণ ছাড়া কার, অটো, রিকশাসহ সব ধরনের যানবাহনের দেখা মিলছে সড়কগুলোতে। এখন আগের মতোই যানজটও চোখে পড়ছে। কাঁচাবাজার তো আগেই খোলা ছিল, এর সঙ্গে চালু হয়েছে ইদ উপলক্ষে অন্যান্য দোকানপাটও। মার্কেটগুলোর সামনে বাড়ছে ভিড়।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা