অনলাইন ডেস্ক
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাকর্মীদের জন্য এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে সাধারণ মাস্ক সরবরাহে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা বিষয়ে তিনি রোববার বলেন, রিপোর্ট দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।“রিপোর্ট আসুক। তারপর আমি দেখব।”
এদিকে গঠিত তদন্ত কমিটি গত ২৮ এপ্রিল স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়ে জমা পড়ার বিষয়টি জানানো হলে জাহিদ মালেক বলেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে তিনি অফিসে কম যাচ্ছেন। সে কারণে এখনও প্রতিবেদনটি তার দেখা হয়নি।
তিনি বলেন, “কেউ যদি ভুল করে থাকে। তাকে ভুলের জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা অবশ্যই দেখা হবে। অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে অবরুদ্ধ অবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে থেকেই সামলাচ্ছেন দাপ্তরিক কাজ। ঘরে বসেই তিনি সভা করছেন, ভিডিও কনফারেন্সে নিচ্ছেন মাঠ পর্যায়ের খোঁজ, দিচ্ছেন নানা নির্দেশনাও।
মাস্কে অসঙ্গতি পাওয়ার বিষয়টি শুনে এমন এক ভিডিও কনফারেন্সেই প্রধানমন্ত্রী তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নীতিমালা অনুযায়ী, রোগীর নমুনা পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য সংক্রমণ এড়াতে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের এন-৯৫ মাস্ক পরা জরুরি।
তবে মার্চের শেষ ভাগে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে যেসব মাস্ক পাঠানো হয়, তার প্যাকেটে ‘এন-৯৫’ লেখা থাকলেও ভেতরে ছিল সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক।
ফলে সেগুলো আসল মাস্ক কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের ব্যাপক হারে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পেছনে কারণ হিসেবে এই মাস্কের প্রসঙ্গও তুলছেন অনেকে।
রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতাল এবং মহানগর জেনারেল হাসপাতালে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের দেওয়া মাস্কের মোড়কে লেখা ছিল এন-৯৫ মাস্ক। তবে সেগুলোর ভেতরে সাধারণ সার্জিক্যাল মাস্ক পাওয়া যায়।
কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে এসব মাস্ক সরবরাহ করেছিল জেএমআই হসপিটাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা