অনলাইন ডেস্ক
বুধবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার সাংহাই হাওরে কৃষকদের ধান কাটার দুটি মেশিনের চাবি হস্তান্তর ও কৃষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার সামগ্রী বিতরণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সারা পৃথিবীর মানুষ আজকে আতঙ্কগ্রস্ত। পুরো বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে একটা চরম স্থবিরতা নেমে এসেছে। এই অর্থনীতির মাঝে বিশেষ করে কৃষি উৎপাদন কমে যাবে। ফলে খাদ্য সংকট হতে পারে। তাই আমাদের হাওরের এলাকায় এই সময়ে ধান কাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি আরও বলেছন, ‘মহাসংকটের সময়ে সারা বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে কৃষির দিকে। খাদ্য যদি না থাকে তাহলে আমরা কেউ বাঁচব না। এই জন্য সবাই আমাকে বলে – আমি কৃষিমন্ত্রী, আমার দিকে সবাই তাকিয়ে আছে। তোমাকে কিন্তু অনেক জবাব দিতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছর বোরো ধান করে চাষিরা দাম পাইনি। এজন্য এ বছর ন্যায্য মূল্য দিয়ে ২৭ তারিখ থেকে চাষীদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। এই ধান কেনা-বেচা নিয়ে কোন অনিয়ম হবেনা। কোন মধ্যস্বত্ত্বভোগী আসবে না। আসার কোন সুযোগ নেই। আমরা কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষুদ্র এবং প্রান্তিক চাষিদেরকে নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করে দিয়েছি। সেই তালিকার ওপর লটারি হবে। সেই লটারিতে কেউ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না।’
এসময় অন্যন্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় হুইপ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি, সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজেম হোসেন রতন, সুনামগঞ্জ-সিলেট মহিলা সাংসদ সদস্য অ্যাড. শামিমা শাহরিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.হাসানুজ্জামান কল্লোল, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো.শাহজাহান কবীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা