দেশজুড়ে টিকে থাকার লড়াই করছে দুগ্ধখামারিরা। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে তাদের উৎপাদিত দুধের ৯০% অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে।
মহামারিটি একদিকে যেমন দুধের চাহিদা হ্রাস করেছে, অন্যদিকে হ্রাস করেছে দামও। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে অগণিত দুগ্ধখামারি ও এই খাতের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার মানুষের জীবিকা।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান বলেন, “প্রতিদিন প্রায় ১২,০০,০০০ লক্ষ টন দুধ বিক্রি হয় যার বাজারমূল্য ৬০ কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমানে এর ৯০% দুধই অবিক্রিত রয়ে যাচ্ছে।”
তাই জাতীয় সংকটের মুখে দুগ্ধখামার খাতও ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রান্তিক খামারিরা ইতোমধ্যে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা চলমান অবস্থা অব্যাহত থাকলে এই খাতটিই হয়তো ভেঙে পড়বে।
শাহ ইমরান জানান, খামারিরা তাদের উত্পাদিত দুধের ৮৪% স্থানীয় বাজারও ও মিষ্টির দোকানে বিক্রি করতেন। “তবে মিষ্টির দোকানসহ বাজারগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেটি সরাসরি আমাদের বিক্রির ওপর প্রভাব ফেলেছে।”
তিনি বলেন, “দুধ একটি বিনষ্টযোগ্য পণ্য। কৃষকদের কাছে এটি সংরক্ষণের জন্য কোনো প্রযুক্তি নেই। তাই প্রতিদিন তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।”
এদিকে, চলমান সংকটে বিডিএফএ দুগ্ধখাতকে বাঁচাতে কৃষকদের কাছ থেকে দুধ কিনতে প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
বিডিএফএর সাধারণ সম্পাদক বলেন, “সংস্থাগুলো যদি স্থানীয় খামার থেকে দুধ সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করে তবে স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত সমস্ত দুধই বাঁচানো যায়।”
ইমরান আরও বলেন, সরকার কৃষকদের জন্য সম্প্রতি ৪% সুদে ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই হার আরও কমিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, “কৃষকদের এখন কোনো আয় নেই। তাদের অনেকে খাবারও কিনতে পারছেন না। তাহলে এই ঋণের এই সুদ তিনি কিভাবে দেবেন?”
আরেকটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে এমরান তার কথা শেষ করেন, “এই সঙ্কটের সময়ে বিদ্যুতের বিলও হ্রাস করা প্রয়োজন।”
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা