অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশে মঙ্গলবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার ৩৮তম দিনে এসে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরও বেড়েছে, আর এ সময় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে।
আইইডিসিআর-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৮০৪টি, ১৯০৫টি পরীক্ষা করা হয়েছে।
সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এপর্যন্ত সবমিলিয়ে ১৩১২৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টা থেকে নতুন করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ৪২৯ জন।
সবমিলিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৬১৮ জন।
আইইডিসিআরের ব্রিফিং-এ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানিয়েছেন বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন সবমিলিয়ে ২৬ হাজার ৭৫২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ৮৯ জনকে।
সবমিলিয়ে মোট আইসোলেশনে আছেন ৩৮৩ জন।
সংক্রমণ শুরুর পর থেকে সবমিলিয়ে কোয়ারেন্টিনে হয়েছে ৯০৫৮১ জনের।
এখনো পর্যন্ত ঢাকাতেই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে। ঢাকা শহরে সবমিলিয়ে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮৩।
এর মধ্যে পুরানো ঢাকার ওয়ারীতে রয়েছে ২২ জন। ঢাকার কাছে নারায়ণগঞ্জ রয়েছে ১৪৪ জন।
আইইডিসিআর জানিয়েছে নমুনা পরীক্ষা করার ল্যাবের সংখ্যা আরও বাড়াতে যাচ্ছেন তারা।
আরও নয়টি নতুন ল্যাব চালু করা হবে যার মধ্যে ছয়টি হবে ঢাকার বাইরে। সব মিলিয়ে এখন ল্যাবের সংখ্যা ১৯টি।
বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডাক্তাররাও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রোগীদের সেবা-দানের সময়ে অনেকে ডাক্তার নিজেরাই আক্রান্ত হচ্ছেন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট আইইডিসিআর-এর একজন উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন জানান, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতায় মূলত তিনটি কারণে চিকিৎসকেরা নিজেরাই সংক্রমিত হতে পারেন।
প্রথমত, যেসব ডাক্তার এবং নার্স ‘ফ্রন্ট লাইন’ সেবা দিচ্ছেন অর্থাৎ যারা সরাসরিভাবে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা করছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ সংক্রমিত হতে পারেন।
দ্বিতীয়ত, জেল-উপজেলা পর্যায়ে যারা সেবা দিচ্ছেন তাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্য রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে সংক্রমিত হচ্ছেন।
“অনেক সময় করোনাভাইরাস রোগীর দেহে সবগুলো উপসর্গ দেখা নাও যেতে পারে। তখন তাকে দেখতে গিয়ে ডাক্তাররা নিজেরাও ঝুঁকির মুখে পড়ে যান,” বলছেন তিনি।
আর তৃতীয় কারণটি হচ্ছে সামাজিক সংক্রমণ, “পরিবার বা বন্ধুবান্ধবের কাছ থেকেও এটা ছড়াতে পারে।”
আইসিইউতে করোনাভাইরাস রোগীদের কীভাবে চিকিৎসা করা হয়?
ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইসিইউ হচ্ছে হাসপাতালের বিশেষ ওয়ার্ড। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের এখানে চিকিৎসা করা হয়।
আইসিইউতে অত্যন্ত জটিল কিছু যন্ত্রপাতি থাকে। পাশাপাশি এখানে কাজ করেন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীরা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর খুব বেশি শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাদেরকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়।
করোনাভাইরাসের একজন রোগীকে সেখানে কিভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়? দেখুন ভিডিওতে। বিবিসি।
Like & Share our Facebook Page
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা