সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : স্কুল, কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বছরের বেতন ও বেসরকারি বিশেবিদ্যালয়গুলোতে ১ সেমিস্টার টিউশন ফি মওকুফ এবং শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়ি ও মেস ভাড়া মওকুফের লক্ষ্যে বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল কাদেরী জয় ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি চলছে দেশজুড়ে। কিন্তু শুধুমাত্র সাধারণ ছুটি ঘোষণা দিয়েই তাকে বাস্তবায়ন করা যায় না। তার জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হয়। দেশের জনগণের বড় একটা অংশ একদিন বাড়ি বসে থাকলে তার বাড়িতে চুলা জ্বলবে না। একদিকে পেটের ক্ষুধা, অন্যদিকে থেমে থাকবে না বাড়ি ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাসের বিল, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতনসহ নানবিধ খরচ। এরই মধ্যে শ্রমজীবী তো বটেই নিম্ন বিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের সংকটের কথা নানা গণমাধ্যমে উঠে এসেছে।
তারা বলেন, ত্রাণের আশায় হাজারো মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে রাস্তায় এদিক সেদিক ঘোরাঘুরি করছে। সব মিলিয়ে সাধারণ ছুটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও ভোগান্তি রয়ে যাবে। অর্থনৈতিক মন্দার কথা এখনই শোনা যাচ্ছে, কর্মহীন হয়ে পড়বে একটা বড় অংশের মানুষ। শ্রমজীবী-দরিদ্র মানুষের জন্য ৬ মাসের রেশন ও নগদ অর্থ সহযোগিতার দাবি আমরাসহ নানা মহল থেকে করা হলেও তা করা হয়নি। বরং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে লোক দেখানো ত্রাণ কার্যক্রমের কী নমুনা তা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করছেন। এরই মধ্যে ক্ষমতাসীনদের প্রায় ২৫০ জন নেতা-কর্মী ত্রাণের সামগ্রী লুট করে ধরা খেয়েছেন আবার ত্রাণ বিতরণে দলীয়করনের সংবাদও পত্রিকায় এসেছে। আমরা মনে করি এসমস্ত পরিস্থিতির ধাক্কা এসে পড়বে ছাত্রসমাজের উপরেও।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের পরিকল্পনায় শ্রমজীবী মানুষের কথা যেমন নাই তেমন দেশের বিশাল অংশের শিক্ষার্থীদের স্বার্থের বিবেচনাও তারা করে নি। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি সমস্ত স্কুল – কলেজ – বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বছরের বেতন এবং সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সেমিস্টারের সেমিস্টার ও টিউশন ফি মওকুফের দাবি করছি।
এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের অনেক শহরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবাসন ব্যাবস্থা না থাকায় শিক্ষার্থীরা বাসা ভাড়া করে মেস করে থাকেন। আমরা জানি দেশের বিশাল অংশের শিক্ষার্থীরা তাদের থাকা পড়ার খরচ টিউশন এবং অন্যান্য পার্ট টাইম কাজ করে বহন করে থাকেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের এই সময়ে অকারণে তাদেরকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত গুনতে হবে বাসা ভাড়ার টাকা।তাই আমরা সকল শিক্ষার্থীদের বাড়ি ও মেস ভাড়া মওকুফের লক্ষ্যে রাষ্ট্রের কাছ থেকে বরাদ্দ দাবি করছি। থানাগুলোতে সংরক্ষিত ভাড়াটিয়া তথ্য ফর্ম দিয়ে মেস এর সংখ্যা কত সেটা বের করা কোন দুরুহ কাজ হবে না বলেই আমরা মনে করি। অবিলম্বে এ সকল বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আমরা আহবান করছি।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা