প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করা অথবা না করা একজন চিকিৎসকের নিতান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তিনি চাইলে করতে পারেন, না করলে বাধ্য করা যাবে না। কিছুদিন আগে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাক্টিস বন্ধে উঠেপড়ে লেগেছিল একটি মহল। এখন করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস অনেকাংশেই বন্ধ রেখেছেন অনেক চিকিৎসক। এর ইফেক্ট পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থায়। এমতাবস্থায় প্রাইভেট প্র্যাক্টিস চালু না করলে মন্ত্রণালয় থেকে ব্যবস্থা নেবার হুঁশিয়ারি আসছে!
অনেকে চেম্বার বন্ধ রেখেছেন রোগী এবং তাদের পরিবারের সুরক্ষার জন্য। তাঁরা অর্থলোভী বা শুধু নিজের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবলে চেম্বার খোলা রাখতে পারতেন কারণ তারা সরকারি হাসপাতালে রোগীর সংস্পর্শে এসে ইতোমধ্যেই ঝুঁকিতে আছেন।
এই সময়ে সবার উচিত জরুরী স্বাস্থ্য সমস্যা ছাড়া হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের চেম্বারে না যাওয়া। তাই চেম্বার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত রোগী এবং তার পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে, সমাজে ছড়ানোর ঝুঁকি কমানোর প্রয়োজনে।
হুঁশিয়ারি দিয়ে আর যাই হোক প্রাইভেট প্র্যাক্টিস শুরু করানো যাবে না। ইন্ডিয়াকে অনুকরণ করেও অনেক কিছু করা যায়। ঝুঁকিভাতা, বীমা এসবের ঘোষণা দিন অনেকেই হয়তো এগিয়ে আসবে। পর্যাপ্ত সুরক্ষা উপকরণের সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখুন। নয়তো আমেরিকার মতো পদত্যাগ করতে থাকবে স্বাস্থ্যকর্মীরা। অনেকে চিকিৎসাসেবায় নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিলেও অনেকের কাছেই এটা শুধুমাত্র জীবিকার একটি মাধ্যম। প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন আছে। জীবন যেখানে সংকটাপন্ন, জীবিকা সেখানে নিরর্থক।
ডা. শায়খ মাহমুদ সেতু, চিকিৎসক।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা