বছর তিনেক আগে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের উত্থানের পর থেকে সৌদি আরবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এড়িয়ে গেছেন। এমনকি একজন সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হলেও তারা পাত্তা দিতে চাননি।
হোয়াটসঅ্যাপে নিজের অ্যাকাউন্ট দিয়ে মার্কিন ধনকুবের জেফ বেজোসের মোবাইল ফোন কীভাবে হ্যাক করলেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, সহকর্মী ডেভিড কেইকে নিয়ে সেই অভিযোগের বিস্তারিত প্রমাণ হাজির করেছেন তিনি।
এর মধ্য দিয়ে নতুন এক দিগন্ত খুলে দিলেন এই ফরাসি নারী। যেন নতুন এক বিপ্লব।
আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টেরও মালিক। এই পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখছেন নিহত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি।
এই কলামনিস্টের ওপর চালানো নির্যাতনের শেষ মুহূর্তের বিভৎস বিবরণ উঠে এসেছিল গত বছরে তার জোরালো তদন্তেই। নিহত হওয়ার আগে যখন তার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, সেই সময়টিতে বেঁচে থাকতে তার আকুতি, প্লাস্টিকের শিটের খসখসানি, খাসোগির উচ্চারিত শেষ শব্দটি তার বিবরণে উঠে আসে।
ক্যালামার্ডের সিদ্ধান্ত ছিল, এটা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যাকাণ্ড।
দাভোস ও সিলিকন ভ্যালিতে আলোচায় এখন প্রাধান্য বিস্তার করছে বেজোসের খবর। সবাই ধারনা করতে চেষ্টা করছেন, যুবরাজ নিজের হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে আর কাকে কাকে বার্তা পাঠাতে পারেন।
ক্যালামার্ড অভিযোগ করেন, নিজের কাজ করতে গিয়ে তিনি মৃত্যুর হুমকি পর্যন্ত পেয়েছেন। তবুও থেমে যাননি।
উজ্জ্বল নীল ফ্রেমের চশমা পরা এই গবেষক ভারী ফরাসি উচ্চারণে নিখুঁত ইংরেজিতে কথা বলেন। ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে তো তাকে একবার সরাসরি হুমকি দিয়ে বসেছিলেন।
দুতার্তে হুমকিতে বলেন, তার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যদি সে তদন্ত করতে আসেন, তবে তার গালে থাপ্পর বসিয়ে দেব।
জাতিসংঘের বিশেষ দূত হওয়ার আগে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন প্রচারমূলক সংস্থায় কাজ করেন তিনি। অভিবাসন, শরণার্থীদের স্থানান্তর, গণমাধ্যমে হামলা ও যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন অ্যাগনেস ক্যালামার্ড।
মাল্টার নিহত সাংবাদিক ডাফন কারুয়ানা গালিজিয়ার ছেলে ম্যাথিও বলেন, অ্যাগনেস খুবই কার্যকর। তিনি জানেন মানবাধিকারের কাজও একটি কাজ। এটা একটা চাকরি। টুইটারে এর বিরোধিতা করে লোকজন যখন শোলগোল তোলতে চেষ্টা করেন, তখন তিনি মনে করেন, এটা ভালোভাবে করতে হবে।
এই সাংবাদিক সন্তান আরও বলেন, তিনি কোনো সমালোচনা করেন না। তিনি সাক্ষ্যপ্রমাণ নথিভুক্ত করেন। আসলে কী ঘটেছে, তা লিখিত রাখেন। পরবর্তী সময়ে তা জবাবদিহিতা তৈরি করে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা