করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) না সাধারণ জ্বর! এই বুঝতে বুঝতেই দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। এদিকে রোগ ছড়াচ্ছে হু হু করে। কারণ, এই সংক্রমণের লক্ষ্মণ আর ফ্লু-এর লক্ষ্মণ প্রায় এক।
জ্বর, সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, শ্বাসকষ্ট। তবে চিকিৎসকেরা খুব সূক্ষ্ম কিছু পার্থক্য খুঁজে পেয়েছেন। করোনা সংক্রমণে প্রথমে শুকনো কাশি। তার থেকে শ্বাসকষ্ট এবং জ্বর। ফ্লু হলে নাক দিয়ে জল পড়বে আগে। করোনায় যা একেবারেই হয় না। একই সঙ্গে গলা ব্যথাও হয় না এই রোগে।
আতঙ্কে দিশেহারা হওয়ার আগে ভালো করে বুঝে নিন দুই ধরনের সংক্রমণের পার্থক্য:
করোনভাইরাস, ফ্লু এবং সাধারণ সর্দির লক্ষণগুলির মধ্যে পার্থক্য টানতে সাহায্য করলেন ডা. পি রঘুরাম (President of The Association of Surgeons of India) এবং ডাঃ শরদ যোশি (প্রিন্সিপাল কনসালট্যান্ট, পালমোনোলজি, ম্যাক্স হাসপাতাল)।
এটি করোনা ভাইরাস বা অন্য কিছু? ডঃ রঘুরাম করোনা ভাইরাস সম্পর্কিত লক্ষণগুলির ক্রোনোলজি এবং কীভাবে অন্য লক্ষণগুলি থেকে তাদের পার্থক্য করবেন তার ব্যাখ্যা করেছেন।
১. করোনা ভাইরাসের লক্ষণ বুঝুন শুকনো কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট একসঙ্গে হলে সেটা করোনা ভাইরাসের লক্ষ্মণ। শুকনো কাশির ফলে ফুসফুসের সঙ্গে জড়িত টিস্যু নষ্ট হয়ে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এরপরেই আসে জ্বর।
COVID-19 শ্রেণির অন্তর্গত এই সংক্রমণ যত বাড়বে ততই জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট বাড়বে। সাধারণ ফ্লু হলে এই উপসর্গ বা কষ্ট ৮০ শতাংশ কম হয়।
২. ফ্লু-এর লক্ষ্মণ এই সমস্যায় প্রথমে নাক দিয়ে জল পড়ে। তারপর কাশি শুরু হয়। শেষে জ্বর। করোনা ভাইরাস সংক্রমণে কাশির সঙ্গে নাক দিয়ে জল পড়ে না।
৩. গলা ব্যথা হয়? এই সংক্রমণে গলা ব্যথা হয় না। সাধারণ ঠাণ্ডা লাগলে বা দূষিত জল পান করলে অনেক সময় গলা ব্যথা হয়। এমন অনেকেই আছেন যাঁদের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ হলেও তাঁরা বোঝেন না যে তাঁরা সংক্রামিত।
এঁরা খুব দ্রুত অন্যদের মধ্যে ভাইরাস বা জীবাণু ছড়িয়ে দেন। তাই এঁদের সনাক্ত করা সবার আগে জরুরি এবং তার জন্য জরুরি উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা। যার সাহায্য সবার আগে এই ধরনের মানুষদের আইসোলেট করে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। এভাবেই ঠেকানো সম্ভব মহামারি।
পাশাপাশি ডাঃ শরদ যোশি গুজব ছড়াতে বারণ করেন। বলেন, “আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সর্দি, কাশি এবং অন্যান্য ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বছরের এই সময়ের মধ্যে ফ্লুর লক্ষণ অতি সাধারণ। তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে ধৈর্য ধরে লক্ষ্য করুন উপসর্গ। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।”
তিনি আরও বলেন, সাবধানে থাকুন। শরীরে সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা করবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেকোনও বয়সের মানুষ এই সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। একজনের থেকে রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে বহুজনের মধ্যে। তাই সতর্ক হোন শুরু থেকে। এনডিটিভি।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা