দীর্গ রোগ ভোগের পর না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভারতের কিংবদন্তি ফুটবলার প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় (পিকে)। শুক্রবার তার পরিবার এ দুঃসংবাদ দিয়েছে। মৃত্যুকালে পিকের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। ১৯৬২ সালে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী ভারতীয় ফুটবল দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। তাকে দেশটির ফুটবলের স্বর্ণযুগের অন্যতম নির্মাতা বলে গণ্য করা হয়।
ফলে চলতি মাসের শুরু থেকে পিকেকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তা সত্ত্বেও তার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা কমেনি। উল্টো বাড়তে থাকে সংক্রমণ। শেষে মাল্টি অর্গ্যান ফেল করে কিংবদন্তি স্ট্রাইকারের। কার্যত এতেই মৃত্যু ঘটেছে তার বলে জানিয়েছেন ডাক্তাররা।
১৯৩৬ সালের ২৩ জুন জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন পিকে। জাতীয় দলের জার্সিতে ৮৪টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন তিনি। সবমিলিয়ে করেন ৬৫ গোল। ১৯৬২ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমস থেকে ভারতকে সোনা এনে দেন প্রয়াত এ ফুটবলার। পাশাপাশি ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিকে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। সেবার দুর্ধর্ষ ফ্রান্স ফুটবল দলের বিপক্ষে ১-১ গোলে ম্যাচ ড্র করে ভারত। গোল করেন খোদ অধিনায়ক।
১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন অলিম্পিকেও ভারতীয় ফুটবল দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন পিকে। সেবার অস্ট্রেলিয়াকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারানোর ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখেন তিনি। দেশের জার্সি ছাড়া ক্লাব ফুটবলেও পিকের বুট তথা পা থেকে আসে একাধিক গোল। প্রায় দুই দশক ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের হয়ে দাপিয়ে খেলেন তিনি। পাশাপাশি কলকাতার দুই বড় দলে কোচিংও করান এ কিংবদন্তি।
২০০৪ সালে পিকেকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করে ফিফা। তাকে দ্রোণাচার্য পুরস্কার দেয় ভারত সরকার। স্বভাবতই এমন কীর্তিমান ফুটবলারের প্রয়াণে কলকাতা তো বটেই, গোটা ভারত ফুটবলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা