ফাইল ছবি। ছবি : তাসকিনা ইয়াসমিন।
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে আরো ৩ জন নতুন রোগী সনাক্ত হয়েছে। এ তিন জনের ১ জন ২৫ বছর বয়সী নারী,১ জন ৬ বছর বয়সী মেয়ে ও ১ জন ২ বছর বয়সী ছেলে। এ ৩ জন মৃদু লক্ষণযুক্ত। এই পরিবারের প্রথম আক্রান্ত ব্যক্তি বিদেশ থেকে ফেরার পর তার মাধ্যমে তার স্ত্রী এবং ১০ বছরের কম বয়সী কন্যা এবং পুত্র আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আটজন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী দেশে পাওয়া গেল।
সোমবার (১৬ মার্চ) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এর পরিচালক প্রফেসর ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, এরমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ীতে গেছেন। এ তিন জনের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিগণ কোয়ারেন্টিনে ভাল আছেন। গত ১৩ মার্চ রাতে আইইডিসিআর ভাইরোলজি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে ২ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল। তাদের একজনের সংস্পর্শে আসা তারপরিবারের ৩ জন সদস্যের নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পাওয়া গিয়েছে।
প্রবাস ফেরতদের স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টিন (নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা) এর উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত যে সব দেশে স্থানীয় সংক্রমণ ঘটেছে সে সব দেশ থেকে আগত যাত্রীগণ (দেশী-বিদেশী নাগরিক) অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন পালন করুন। এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশসমূহ থেকে দেশে ফেরত আসা কোনো কোনো প্রবাসী বাংলাদেশী স্বেচ্ছা/গৃহ কোয়ারেন্টিন পালন করছেন না।
তিনি বলেন, কেউ কেউ এ ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করছেন যে, তারা কোভিড-১৯ মুক্ত। এটা ঠিক যে, তারা এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। কিন্তু তারা গত ১৪ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশে অবস্থানকরেছেন। এমনকি তারা সুস্থ অবস্থায় স্বাস্থ্য পরীক্ষায় কোভিড-১৯ মুক্ত প্রমাণিত হলেও বা সেখানে কোয়ারেন্টিন সম্পন্ন করলেও এর পর যে কোন সময় সে দেশে থাককালীন বা বিমানে-ট্রানজিটে অবস্থানকালে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন, হয়তো এখনো সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পায় নি।
তিনি বলেন, কিন্তু ১৪ দিনের মধ্যে তার মধ্যে সুপ্ত কোভিড-১৯এর ণক্ষণ প্রকাশিত হতে পারে। তাই দেশে ফেরার পর মোট ১৪ দিন পর্যন্ত তিনি অন্যান্য সুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকবেন। আক্রান্ত দেশে কোভিড-১৯ পরীক্ষা কিংবা কোয়ারেন্টিন করা একজন ব্যক্তিকে টিকা নেবার মত কোভিড-১৯ প্রতিরোধী হিসেবে তৈরী করে না। তাই কোভিড-১৯ আক্রান্ত দেশে স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা কোয়ারেন্টিন করলেও তাদেরকে এদেশে প্রবেশ করবার পরে আবার কোয়ারেন্টিন করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আক্রান্ত দেশসমূহ থেকে আগত সবাইকে নিজেদের, পরিবারের, সমাজের ও দেশের স্বার্থে ১৪ দিনের জন্য কষ্ট স্বীকার করে স্বেচ্ছা/গৃহ কোয়ারেন্টিন মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আশা করি তারা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশের বিদ্যমান আইন ভঙ্গ করবেন না। আইন ভঙ্গের ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি(বর্গ)কে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে অবস্থান করার জন্য কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। ইতিমধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যারা রয়েছেন, তাদের কারো কারো মধ্যে অসহিষ্ণুতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশের একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে তাদের আচরণ মর্যাদাপূর্ণ হবে এ আশা করছি। তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থেই কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ পূর্ণ করা প্রয়োজন। আপনাদের যে কোনো প্রয়োজনে আমরা আপনাদের পাশে আছি।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা