বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ক্যাডেট পাইলট নিয়োগে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুল মুনীম মুসাদ্দিক আহম্মেদ। আজ মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ দাবি করেন। এদিকে, গ্রেপ্তার হওয়া রাজউকের সাবেক সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলমও নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
এর আগে বিমানের সাবেক এমডি মোসাদ্দিককে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম। ক্যাডেট পাইলট নিয়োগসহ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
নিজেকে নিরপরাধ দাবি করে বিমানের সাবেক এই এমডি বলেন, ‘ডেফিনেটলি আমি কোনো অপরাধ করিনি।’
একই অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার বিমানের বর্তমান এমডি ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিলসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অন্যরা হলেন বিমানের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা বিনীত সুধ, পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) আশরাফুল আলম, পরিচালক (পরিকল্পনা) মাহবুব জামান খান ও প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধান ফজল মাহমুদ চৌধুরী। ওই দিন ফারহাত জামিলও দাবি করেন, নিয়োগে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
এর আগের দিন রোববার বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) পার্থ কুমার পণ্ডিত, পরিচালক (প্রকৌশল ও উপাদান ব্যবস্থাপনা) সাজ্জাদুর রহিম, পরিচালক (গ্রাহক সেবা) মমিনুল ইসলাম ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) বুশরা ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এর আগে গত ২ মে বিমানের ১০ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বরাবর চিঠি পাঠায় দুদক।
নির্দোষ দাবি রাজউকের সহকারী পরিচালকের এফ আর টাওয়ারে নকশা জালিয়াতির মামলায় গতকাল সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলমকে। দুদকের হাজতখানা থেকে তাঁকে কারাগারে নেওয়ার সময় সাংবাদিক দেখে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি অপরাধী নন দাবি করে বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। যে অভিযোগে মামলা হয়েছে আমি তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নই। বড় বড় রাঘববোয়ালদের ছেড়ে দিয়ে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তাঁর দাবি প্রসঙ্গে দুদক সচিব দিলোয়ার বখত সাংবাদিকদের বলেন, এফ আর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় ২৩ জনকে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে। এর একটির এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, কোনো অপরাধী অপরাধ করার পর দোষ স্বীকার করতে চায় না। তারা সব সময় নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে।
বিমান কর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে দুদক সচিব বলেন, দুদক নিরপরাধ কাউকে গ্রেপ্তার করে না। অনুসন্ধান বা তদন্তের স্বার্থে যখন যাকে প্রয়োজন মনে করে, তখন তাকে তলব করে। অনুসন্ধান শেষে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
NB:This post is copied from prothomalo
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা