মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বাংলাদেশ দূতাবাস, হ্যানয়, ভিয়েতনামে যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে। ২১ ফেব্রুয়ারির দিনটি এবার শুক্রবার হওয়ায় সকাল ও সন্ধ্যা দু’টি পর্বে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সকালের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরণ, ১ মিনিট নিরবতা পালন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত, আলোচনা অনুষ্ঠান এবং ডকুমেন্টারী প্রদর্শনী এবং সন্ধ্যায় কবিতা আবৃতি, সমবেত সঙ্গীতসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে ।
চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স মো: আলী মহসীন রেজা সকালে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন ও অর্ধনমনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচীর সূচনা করেন। দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীগণ এবং ভিয়েতনামে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী গণ এবং ভিয়েতনামের নাগরিক ও বিদেশী অতিথিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে চার্জ দ্য এ্যাফেয়ার্স সমবেত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন । বক্তব্যের শুরুতে তিনি ভাষা শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও সকল ভাষা সৈনিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্ব দানকারী ও এ কারণে তাঁর কারাবরণের কথা বিনম্রচিত্তে স্মরণ করেন। ইউনেস্কোতে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি লাভের ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালনের জন্য প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের মাতৃভাষা দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অফিস-আদালত, কোট-কাচারী সকল ক্ষেত্রে বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সকল বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান ও নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানান। একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির নিমিত্ত প্রধানমন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এবং ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকল প্রবাসী বাংলাদেশী ভাই বোনকে এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে তাঁদের মূল্যবান অবদান রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে তাঁদের কষ্টার্জিত টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রেরণ পূর্বক সরকার প্রদত্ত প্রনোদনা গ্রহন করার জন্যও অনুরোধ জানান।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত বাংলাদেশীগনের মধ্যে রমিজ খন্দকার ও জাহিদ হাসান রফিক বক্তব্য রাখেন। তাঁরা তাঁদের বক্তব্যে মাতৃভাষার জন্য যারা প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন, তাঁদের অবদানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত টেকসই উন্নতি বাস্তবায়নের নিমিত্তে সকল প্রবাসী বাংলাদেশী ভাই বোনকে একসাথে কাজকরে সম্মিলিতভাবে দেশেকে এগিয়ে নেয়ার আশা পোষন করেন । ভাষাদিবসকে বিদেশের মাটিতে প্রবাসী বাঙ্গালী এবং বর্তমান প্রজস্মের কাছে এর তাৎপর্য উপস্থাপন এবং অংশগ্রহনে উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়াবার লক্ষ্যে সন্ধ্যায় ২১শের কবিতা পাঠের আসরসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ, প্রবাসী বাংলদেশী এবং নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা সম্মিলিতভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ভাষা শহীদদের উপর নির্মিত ১টি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং অনুষ্ঠান শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে ধন্যবাদ ও বাংলাদেশী খাবার আপ্যায়নের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয় ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা