সারাদেশে চলমান সরকারি পলিটেকনিক শিক্ষকদের ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছাত্রনেতা আল কাদেরী জয় ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স এর পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে একথা জানা গেছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাদেশে সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর শিক্ষক ও কর্মচারিদের ৫ দফা দাবিকে তারা সর্মথন জানিয়েছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৮৩ সাল থেকে সারাদেশে ৪৯ টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ৬৫টি স্কুল এন্ড কলেজে ২ শিফ্ট পদ্ধতি চালু হলেও তার জন্য আলাদা করে কোন বেতন ভাতা দেওয়া হয় নি। প্রথম দিকে মূল বেতনের ৫০ শতাংশ সম্মানি দেওয়া হতো। পরবর্তীতে সেটা বাড়ানোর কথা থাকলেও তা না বাড়িয়ে বরং কমিয়ে দেওয়া হয় । এর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক ও কর্মচারিরা আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। তাই দীর্ঘদিনের আন্দোলনের কারণে ক্লাস বন্ধ থাকায় ছাত্র ছাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। পরবর্তীতে আন্দোলনের চাপে পড়ে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা পূরণ করা হয়নি। তাই এই ফেব্রুয়ারি থেকে আবার আন্দোলনে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চলমান সংকটের জন্য কারিগরি শিক্ষাবোর্ড, সরকারের অবহেলা ও শিক্ষা সংকোচনের নীতিই দায়ী। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতৃত্বে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ, হল নির্মাণ, গবেষণাগারে পর্যাপ্ত সরঞ্জমাদি ক্রয়সহ ৬ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে শিক্ষার্থীরা। সে সময় ছাত্র ফ্রন্টের দাবি মেনে নিলে বর্তমান সংকটে পড়তো না শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে শিক্ষকদের ৫ দফা দাবি মেনে নিয়ে পলিটেকনিকের শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ। অন্যথায় সারাদেশের ডিপ্লোমা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা