সৈয়দ রাশিদুল হাসান
বই মেলার প্রথম শুক্রবার।পাঠককে টয় টম্বুর করছে মেলা প্রাঙ্গণ। ছুটির দিনে যেন পূর্ণতা পেল অমর একুশে বইমেলা। ক্রেতা পাঠকের সঙ্গে দর্শনার্থী মিলিয়ে বিকেল থেকেই জমজমাট মেলার সোহরাওয়ার্দী প্রাঙ্গণ। ভিড় কম ছিল না বাংলা একাডেমি অংশেও। পাঠকের এমন ভিড়ে খুশি প্রকাশকরা। এদিনের মেলার সকালটা থাকলো শিশু কিশোরদের আর বিকেল থেকে রাত অপদি ছোট-েবড় সবার। প্রকাশিত বইও ছিল এবারের মেলার সর্বোচ্চ ৩০৮টি।
হুমায়ুন পেশায় পুলিশ এস আই।ডিউটি ছিলো মেলায়,সন্ধ্যায় ডিউটি শেষ। আর তাই কলাও বেচলেন রথও দেখলেন, পরিবার কে বই মেলায় আসতে বললেন,মেয়েকে পছন্দের বই কিনে দেন, তিনি লাল সবুজেরকথাকে বলেন”সত্যি বলতে আমাদের পেশায় সময় কম থাকে পরিবার মানুষদের সময় দেবার।যেহেতু ডিউটিটা মেলাতে তাই বাচ্চাদের সময় দেবার জন্য ডেকে পাঠায়,সময় দিই, বাচ্চাদের নতুন বইয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিই। ”
তবে লেখক জামশেদ নাজিম বলছিলেন,”নতুন পাঠক সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, একটা তরুণ শ্রেণীর আগ্রহ তৈরি হয়েছে বই পড়ার প্রতি।”তবে আজকের এই ভিড়ের বেশিরভাগই হুল্লোড়ে। বইয়ের খোঁজে খুব কম পাঠকই এসেছে। যদিও পূর্বা প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মকর্তা বেশ ভালো বই বিক্রির কথাই জানালেন।
এদিকে সকাল ১১টা থেকে শিশু প্রহরে অভিভাবকদের সঙ্গে মেলায় এক স্টল থেকে অন্য স্টলে ঘুরেছে আর বই দেখেছে শিশুরা। এর আগে সকাল সাড়ে আটটায় ছিল চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল থেকেই টিএসসি হয়ে অভিভাবকদের হাত ধরে মেলা প্রাঙ্গণে আসে শিশুরা। শিশু কর্নারের বিভিন্ন স্টলে গিয়ে নানা বয়সী শিশুরা কিনেছে নিজেদের পছন্দনীয় বিভিন্ন শিশুতোষ বই। টেলিভিশনের পর্দার প্রিয় হালুম আর ইকরিসহ সিসিমপুরের অভিনয় শিল্পীরা এসেছিল এই প্রহরে।
পর্দার বাইরে প্রিয় চরিত্রের মানুষগুলো ও তাদের অভিনয় দেখে উচ্ছ্বসিত ছিল শিশুরা। কিন্তু বাবার কাঁধে চড়েও অভিনয় শিল্পীদের দেখতে পায়নি অনেক শিশু। এ নিয়ে আক্ষেপ করেছে অনেক বাবা-মা। শনিবারও সকালটায় থাকবে শিশু প্রহর।
ষষ্ঠ দিনের ৩০৮টি বইসহ মেলায় নতুন বই এলো ৬৪০টি। এর মধ্যে সুবর্ণ থেকে প্রকাশিত হয়েছে মুনতাসীর মামুনের ‘বাংলাদেশ ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের শত্রুপক্ষ’। সময় প্রকাশন প্রকাশ করেছে মুহম্মদ জাফর ইকবালের বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ‘গ্লিনা’। কথাপ্রকাশ প্রকাশ করেছে রকিব হাসানের গোয়েন্দা কাহিনি ‘গুপ্তধনের সংকেত’।
মূলমঞ্চে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত সৈয়দ শামসুল হকের ‘বঙ্গবন্ধুর বীরগাথা’ বইকে ঘিরে আলোচনা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করছেন ইমদাদুল হক মিলন। আলোচক খায়রুল আলম সবুজ ও আনিসুল হক। আর লেখককুঞ্জে পাঠকের মুখোমুখি হয়েছিলেন লেখক তুষার আবদুল্লাহ ও কবি জাহানারা পারভীন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা