ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালে ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় মোস্তাফিজুর রহমান সুমনসহ সংগঠনের বেশ কয়েকজন সদস্যের ওপর হামলা ও নাজেহালের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
একইসঙ্গে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে সাংবাদিক সমাজ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে। বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় ডিআরইউ চত্বরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এ কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজে একাংশের মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিইউজের একাংশের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের একাংশের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাবেক সহ সভাপতি আজমল হক হেলাল।
বক্তব্য রাখেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, রাজু আহমেদ, মুরসালিন নোমানী, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ডিআরইউ সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবুর রহমান, নারী বিষয়ক সম্পাদক রীতা নাহার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাইদুর রহমান রুবেল, কল্যাণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ।
বক্তব্য রাখেন নির্বাহী পরিষদ সদস্য মঈনুল আহসান, আহমেদ মুশফিকা নাজনীন, ক্র্যাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকু, ডিইউজে একাংশের যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন, ডিইউজে একাংশের জনকল্যাণ সম্পাদক খন্দকার আলমগীর হোসেন, ডিআরইউর সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মশিউর রহমান, সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আয়াতুল্লাহ আকতার, মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন, ডিআরইউ সদস্য রহমান আজিজ প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম সম্পাদক হেলিমুল আলম বিপ্লব, সাবেক দপ্তর সম্পাদক মেহ্দী আজাদ মাসুম, সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমদাদুল হক খানসহ অনেকে।
ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ তার বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন চলাকালে এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, আমরা সরকারের প্রতিপক্ষ নই। আমরা নিরাপদে আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে চাই। কিন্তু সিটি নির্বাচনের দিন এবং তার পরে সাংবাদিকদের ওপর যেভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, তাতে আমরা শংকিত। এই ধরণের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সরকারকে খেয়াল রাখতে হবে। সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি এই ন্যাক্কারজনক হামলার সাথে জড়িতদের আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শনিবারের মধ্যে গ্রেপ্তার না করা হলে সকল সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সিটি নির্বাচনের দিন পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র (ডিআরইউ) সদস্য ও অনলাইন পোর্টাল আগামী নিউজ ডটকমের ক্রাইম রিপোর্টার মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বেলা ১১টার দিকে মোহাম্মাদপুর এলাকার রায়েরবাজার সাদেক খান রোডে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। একইদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে মাদারটেক আব্দুল আজিজ স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে কয়েকজন সাংবাদিককে শারীরিকভাবে নাজেহাল করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ডিআরইউ সদস্য দৈনিক নয়াদিগন্তের স্টাফ রিপোর্টার শামছুল ইসলাম, ইনকিলাবের স্টাফ রিপোর্টার ফারুক হোসাইনের নির্বাচন কমিশন থেকে দেওয়া পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে তাদের মোবাইলের সব তথ্য মুছে ফেলা হয়। এছাড়া গেন্ডারিয়ায় ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহবুব মমতাজী শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হন।
এছাড়া গত ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বেরাইদে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বাড়ির কাছে হাসনায়েন তানভীর ইমনকে কতিপয় সন্ত্রাসী হামলা ও মারধর করে। এতে তিনি মারাত্বকভাবে আহত হন। এছাড়া হামলাকারীরা তার সাথে থাকা ক্যামেরাও ভাঙচুর করে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা