টি২০ সিরিজে পাকিস্তানের কাছে নাকাল হয়েছে বাংলাদেশ।
আজ রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সকাল ১১টায় আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচের প্রথম টেস্টে খেলতে নামবে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানে গিয়ে এখন পর্যন্ত কোন ম্যাচেই জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টেস্টে তো জয় যেন কল্পনাতেই আসে না। এরপরও যদি বাংলাদেশ জয় নিয়ে দেশে ফিরতে পারে তাহলে ইতিহাস গড়াই হবে।
প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের মাটিতে অধরা জয়টি মিলবে। তা না হলেও টি২০ সিরিজে যে করুণ দশা হয়েছে, সেই হিসেবে টেস্টে ভাল করতে পারলে প্রশংসনীয় নৈপুণ্য দেখাতে পারলে প্রাপ্তি মিলবে।
বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক অবশ্য জয়ের আশা করছেন। এই আশা নিয়েই মাঠে নামতে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দেশের মাটিতে ভাল খেলতে না পারার অপবাদ ঘুচাতে চাই। দেখাতে চাই আমাদেরও সামর্থ্য আছে ভাল খেলার, বিদেশের মাটিতে টেস্ট জেতার। এ সত্য প্রমাণ দেয়ার এখনই সময়। তাই অতীতের না পারার ব্যর্থতা ঝেড়ে মুছে এবার রাওয়ালপিন্ডি থেকেই নতুন ইতিহাস রচনার দৃঢ় সংকল্প আমাদের।’
দীর্ঘ ১০ বছর নির্বাসিত থাকার পর শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে দুই মাস আগে পাকিস্তান নিজ দেশে টেস্ট আয়োজনে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এই টেস্ট সুচি তাদের সক্ষমতা অর্জনের দ্বিতীয় ধাপ। ২০০৯ সালের মার্চে লাহোরে শ্রীলংকার টিম বাসে সন্ত্রাসী গোষ্ঠির রক্তক্ষয়ী হামলার পর দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিষিদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করতে বাধ্য হয় পাকিস্তান।
বাংলাদেশ এ পর্যন্ত বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুটি ম্যাচ খেলেছে। ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ দুটিতে ভরাডুবি হয়েছে। গত বছর নবেম্বরে ভারতের মাটিতে খেলতে গিয়ে দুই টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে। তিনদিনও খেলতে পারেনি।
এর আগে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে টেস্টে ডুবেছে বাংলাদেশ।
তামিমের সঙ্গে ওপেনিংয়ে দেখা যাবে সাইফ হাসানকে। যিনি এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াননি। টেস্ট দিয়েই তার সেই যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে। সাদমান ইসলাম ইনজুরিতে থাকায় সাইফের সুযোগ মিলেছে।
সেই সুযোগ কাজে লাগানো গেলেই হলো। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে ব্যাটিংয়ে দেখা যাবে। এর আগেও দুই টেস্ট খেলেছেন শান্ত। কিন্তু আশানুরূপ নৈপুণ্য দেখাতে পারেননি। এবার মুশফিকুর রহিম পাকিস্তান সফরে যেতে চাননি।
শান্ত সুযোগ পেয়েছেন। সুযোগ কি এবার কাজে লাগাতে পারবেন? মুমিনুলকে তিন নম্বর ব্যাটিং পজিশন থেকে চার নম্বরে নেয়া হচ্ছে। যদি দ্রুত উইকেট পড়ে মুমিনুল যেন হাল ধরতে পারেন। এখন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারলেই হলো। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, লিটন কুমার দাস থাকছেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা