বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন (সংশোধন) আইন ২০১৮ নিয়ে হেলথ রিপোর্টার্সদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের ডেন্টাল ক্লাসরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ও ক্যাডাভেরিক জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
মতবিনিময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত উপ-উপাচার্য ও ক্যাডাভেরিক জাতীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব জনাব আবদুল ওহাব খান, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একেএম খুরশিদুল আলম, নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম, ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব কিডনী ডিজিজ এন্ড ইউরোলজি এর অধ্যাপক ডা. কাজী রফিকুল আবেদীন, সিনিয়র সাংবাদিক আবুল খায়ের, শিশির মোড়ল, তৌফিক মারুফ, মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, সেবিকা দেবনাথ, হামিম-উল কবির, দুলাল হোসেন, ফরিদ উদ্দিন প্রমুখও অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ক্যাডাভেরিক জাতীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, মানব দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যেমন কিডনী, হৃদপিন্ড, ফুসফুস, অন্ত্র, যকৃত, অগ্নাশয়, অস্থি, অস্থিমজ্জা, চক্ষু, চর্ম ও টিস্যুসহ চিকিৎসার প্রয়োজনে রোগীর দেহের সংযোজনের জন্য ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসাসেবাকে এগিয়ে নিতে ব্যাপক জনমত তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে সাংবাদিকসহ গণমাধ্যমগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। ব্রেন ডেথ বা ক্লিনিক্যালি ডেথ ঘোষিত মৃত দেহ থেকে মানুষ যাতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দানে উৎসাহিত হয় সে জন্য জনমত সৃষ্টিতে মসজিদের ইমাম সাহেবরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
কিডনী, লিভার ও চক্ষুসহ যেসকল রোগের চিকিৎসায় রোগীর দেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে যৌক্তিকভাবে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্যান্টকে এগিয়ে নেয়ার কোনো বিকল্প নাই।
অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে কোনো ব্যক্তি বা রোগীকে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করা হলে তাকে মৃত বলা যায় এবং তাঁর নিকট আত্মীয়-স্বজনরা চাইলে ওই ব্যক্তির অঙ্গ প্রত্যঙ্গ রোগীদের কল্যাণ ও চিকিৎসার জন্য দান করতে পারেন।
সিনিয়র সাংবাদিক আবুল খায়ের জানান, তাঁর এক নিকটাত্মীয় বাংলাদেশেই অত্যন্ত স্বল্প খরচে কিডনী ট্রান্সপ্যান্ট করে ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে সুস্থ আছেন এবং কিডনী দাতাও সুস্থ আছেন। তিনি ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্যান্ট চিকিৎসাসেবাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য দেশবাসীকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশের চিকিৎসকবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
সিনিয়র সাংবাদিক তৌফিক মারুফ এই ধরণের আয়োজনের জন্য ক্যাডাভেরিক জাতীয় কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে, মরণোত্তর চক্ষুদানে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং এক্ষেত্রে যাতে বাণিজ্য না হয় বা রোগীরা যাতে প্রতারিত না হয় সেদিকেও দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা