ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রভোস্টকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১০ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম ইলিয়াস মিয়া নতুন করে এ দিন ধার্য করেন। খবর : বাসস এর।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের দিন সকালে মামলার বাদী মারজুকা রায়না রোকেয়া হলে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়ান।এর মধ্যে হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচালের চেষ্টা করেন অভিযুক্তরা। তারা গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে গুজব ছড়ান, ট্রাঙ্কভর্তি সিলমারা ব্যালট পেপার হলের ভেতরে রয়েছে। পাশাপাশি তারা শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করার জন্য উসকে দেন।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, এক পর্যায়ে হল প্রভোস্ট ড.জিনাত হুদা শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে বলেছিলেন,‘বাস্তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। সংরক্ষিত ব্যালট পেপারগুলো সাদা।’ কিন্তু অভিযুক্তরা প্রভোস্টের কথা না শুনে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং শিক্ষার্থীদের গালাগাল করেন। এসময় তারা রোকেয়া হল সংসদের দরজা-জানালা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। পরে তারা সংসদের ভেতর অনধিকার প্রবেশ করে একটি ট্রাঙ্ক বের করে আনেন। সেটি খুলে দেখা যায়,সব ব্যালট পেপারই সাদা। কোনোটিতে সিল মারা নেই।
ঘটনার দিনই ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মারজুকা রায়না শাহবাগ থানায় নুরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।এতে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০-৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন-ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, নির্বাচনে ভিপি পদে প্রার্থী এবং ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি লিটন নন্দী, জিএস প্রার্থী ঢাবির জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আনিসুর রহমান,জিএস প্রার্থী ছাত্র ফেডারেশনের ঢাবি শাখার সভাপতি উম্মে হাবীবা বেনজীর ও রোকেয়া হল সংসদের স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী শেখ মৌসুমী।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা