সামাজিক যোগাযোগের এই যুগে সাংবাদিকরা যেসব ঝুঁকির মধ্যে আছেন, সাধারন মানুষও তার বাইরে নন, এবংএই বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে হলে প্রযুক্তিগত ভাবে নিজেদের সচেতনও কৌশলগত ভাবে প্রস্তুত করে তোলার বিকল্প নেই বলে এক অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন ও জার্মান গণমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থা ডি ডব্লিউ একাডেমীর যৌথ প্রয়াসে একটি অনলাইনকোর্সের উদ্বোধনে এসব কথা উঠে আসে। রাজধানীর হোটেল আমারি ঢাকাতে বুধবার (২৯ জানুয়ারী) এই অনুষ্ঠানে অনলাইন কোর্সটি ছাড়াও বাংলাদেশে সাংবাদিকতা শিক্ষার ওপর একটি গবেষনা প্রকাশিত হয়, এবং গনমাধ্যমের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে তৈরি করা ৬টি প্রকল্পের প্রদর্শনী করা হয়।
অনুষ্ঠানে আর্টিকেল নাইনটিন এর বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে সাংবাদিক ও অসাংবাদিকের মধ্যে পার্থক্যটা ঘুচে গেছে। আমি ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিলেও পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যেতে পারে।” সম্প্রতি পাশ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা ছাড়াও অধিকারকর্মী ও ব্লগারদেরও নিজেদের ডিজিটালঅধিকার ও আইন সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরী।
১০সপ্তাহের অনলাইন কোর্সটিতে ডিজিটাল অধিকার ও নিরাপত্তা, গণমাধ্যম আইন ও গণমাধ্যম নৈতিকতা—এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।কোন খরচ ছাড়াই ইন্টারনেট সনযোগ থাকলেই কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোনে যে কেউ কোর্সটি করতে পারবেন। ফেব্রুয়ারি মাসে www.banglatutorial-media.org ঠিকানায় শুরু হবে কোর্সটি।
কোর্সটি শেষ করলে মিলবে আর্টিকেল নাইনটিন ও ডি ডব্লিউ একাডেমি থেকে সনদ।
অনলাইন কোর্সটিতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি গতকাল বলেন, “সাংবাদিকতা বর্তমানে কঠিন হয়ে পড়েছে।বিচারব্যবস্থার ওপর আক্রমন আমরা দেখেছি, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার দেখেছি।এসব বিষয় মাথায় রেখেই এই কোর্সটি আমরা সাজিয়েছি নিরাপদ, স্মার্ট, ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার প্রসারের জন্য।
এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্যে ডি ডব্লিউর বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার প্রিয়া এসেলবর্ণ বাংলাদেশে সাংবাদিকতার শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রের মধ্যে দূরত্ব রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে সাথে সাংবাদিকতা প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে, এবং সংবাদমাধ্যম এবং ভবিষ্যত সাংবাদিকদের তার সঙ্গে নিজেদের খাপ খাওয়াতে হবে।
আরো বক্তব্য রাখেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক জেনিনা ইসলাম আবির ও জার্মান দূতাবাসের রাজনৈতিক দূত ইনেস ডোরশাক-বর্গ।
শুধুমাত্র সংবাদকর্মী নয়, শিক্ষার্থী, অধিকারকর্মী, অনলাইন এক্টিভিস্ট, ব্লগার,নাগরিক সাংবাদিক ও উন্নয়ন পেশাজীবিরাও এ কোর্সটি থেকে উপকৃত হবেন বলে মত দেন বক্তারা।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা