পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এক ফেসবুক পোস্ট এ লিখেছেন কি ধরনের বিমান আমরা পাঠাব তা জানতে চেয়েছে চীন। যারা ফিরতে চান তাদের রেজিষ্ট্রেশন শুরু হয়ে গেছে। আমরা দুই এক দিনের মধ্যেই সঠিক ধারণ ক্ষমতার বিমানটি নির্ধারণ করতে পারবো ফিরে আসতে চাওয়া মানুষের সংখ্যার মাধ্যমে।
প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুকে লিখেছেন, SARS ভাইরাসের ভেকসিন আবিস্কার করতে ‘জিন সিকুয়েন্স’ থেকে মানব দেহে পরিক্ষা করতে সময় লেগেছিলো ২০ মাস। CORONA ভাইরাসের ‘জিন সিকুয়েন্স’ ইতিমধ্যে করে ফেলেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা (রয়টার্স জানিয়েছে আজকে)। ভেকসিন তৈরী করে তা মানব দেহে পরিক্ষা করতে সর্বোচ্চ সর্বমোট সময় লাগবে ৩ মাস যার মধ্যে ১ মাস প্রায় পার হয়ে গেছে। SARS এর পরে চীন এই সম্ভাব্য ঝুকির জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে যার প্রভাব আমরা দেখছি সর্বোচ্চ সতর্কতামুলক ব্যবস্থায়। এই কথাগুলো তাদের জন্য যারা খুব শংকার মধ্যে আছেন চীনে। ঘরের মধ্যেই একনাগাড়ে থাকতে বলাটাই একধরনের ‘কোয়ারেন্টাইন’ ব্যবস্থা। ১৪ দিন সর্বোচ্চ, যার মধ্যে কম বেশী ৭ দিন পার হয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী লিখেছেন,’ আমি অনুরোধ করবো যে কয়েকটা দিন ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে সেই সময় পর্যন্ত চীন সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা কোন ব্যতিক্রম ছাড়া মেনে চলার জন্য। এতে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা ব্যহত হচ্ছে ঠিকই কিন্তু নিজের জীবনের স্বার্থে এবং ভাইরাসটি যেন তাদের কারও মাধ্যমে না ছড়ায় তা নিশ্চিত করতে চীনের স্বাস্থ্য বিষয়ক নির্দেশনাগুলো মেনে চলতেই হবে।
আমি আরও অনুরোধ করবো বাংলাদেশে থাকা তাদের পরিবারের সদস্যদের যেন চীনে থাকা তাদের আত্মীয়দের তারা এই বার্তাটি পৌঁছে দেন এবং তাদের উদ্বুদ্ধ করেন। আমাদের দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা পালাক্রমে ২৪ ঘন্টা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং অতিপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধানের চেস্টা করছেন। আমরা ঢাকা থেকে দূতাবাসের কার্যক্রমের সাথে সমন্বয় করছি এবং তদারকি করছি।’
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা