অনলাইন ডেস্ক
টেকনাফ উপকূলের জেলেরা জানান, রোজার মাসে সাগরে মাছ ধরা পড়েনি। ঈদের পরেও সাগরে লঘুচাপের কারণে মাছ ধরা পড়েনি, এরই মধ্যে সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জেলেরা।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, মাছের প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য প্রতিবছরের মতো এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ সময় দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছ ধরার ট্রলার যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর সমুদ্রে মৎস্য প্রজনন বাড়ানোর লক্ষ্যে সরকার এ পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে। সরকারে নিষেধাজ্ঞার কারণে টেকনাফ উপজেলায় শামলাপুর, হাজম পাড়া, বড়ডেইল, কচ্ছপিয়া, মিঠাপানির ছড়া, মহেশখালীয়া পাড়া, বাহার ছড়া, মুন্ডার ডেইল ও শাহপরীরদ্বীপ নৌ-ঘাটে নৌকা নোঙর করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, টেকনাফ উপজেলার সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় ছোট বড় প্রায় ১ হাজার নৌকায় ১০ হাজার জেলে মাছ ধরায় নিয়োজিত রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে ইলিশের প্রজননসহ মৎস্যভান্ডার সমৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ৫৮ দিনে টেকনাফে ১০ হাজার ৬৮৩ জেলের জন্য তালিকা অনুযায়ী প্রথমবার জনপ্রতি ৫৬ কেজি এবং দ্বিতীয় বার জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, সাগরে ৫৮ দিন মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখতে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। কেউ এ সময়ে সাগরে গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়াও সাগর উপকূলে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশকে তৎপর থাকতে বলা হয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা