অনলাইন ডেস্ক
৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের সবচেয়ে বড় মেগা প্রকল্পের এমন করুণ দশাই প্রমাণ করে দুর্নীতি হয়েছে নির্মাণে কিংবা অনিয়ম হচ্ছে পরিচালনায়। তবে পরিকল্পনায় ত্র“টি থাকতে পারে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও ব্যয়বহুল প্রকল্প পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প। ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এই রুটে গেল বছরের নভেম্বরে চালু হয় রেল চলাচল।
প্রকল্পের প্রস্তাবে বলা হয়েছিলো, পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে দৈনিক ৫০টির বেশি ট্রেন চলবে ঢাকা-যশোর রুটে। কিন্তু উদ্বোধনের বছর পার হলেও ৪ জোড়ার বেশি ট্রেনের চাকা ঘুরেনি এই রেলপথে।
প্রকল্পেরর শুরুতে বলা হয়েছিলো বছরে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয় হবে এই পথে। কিন্তু হিসেবে কষে দেখা গেলো উল্টো চিত্র। বছরে লাভ তো দূরে থাক এই রুটে উল্টো ১২ কোটি টাকার বেশি লোকসান গুনতে হয়েছে রেলওয়েকে। এই পথে প্রতিটি ট্রেনে মাসে জ্বালানী খরচই হয় ৯০ লাখ টাকা। মধুমতি এক্সপ্রেসে গেল আগস্ট মাসে আয় হয় মাত্র ৫৮ লাখ টাকা। ৩২ লাখ টাকা লোকসান দেয় ট্রেনটি। একই মাসে মাত্র ৪০ লাখ টাকা আয় করে সুন্দরবন এক্সপ্রেস। ট্রেনটি লোকসান দেয় দ্বিগুণেরও বেশি। এভাবেই লোকসানের পাল্লা ভারী করছে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প।
রেলওয়ের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক সরদার শাহাদাত আলী বলেন, প্রকল্পে ব্যয় বাড়ানোর চেয়ে যদি ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো যেত তবে লোকসানের এমন চিত্র হতো না।
কদিন আগে এক অনুষ্ঠানে এই প্রকল্প নিয়ে হতাশার কথা জানান, রেল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।
তবে প্রকল্পটির ত্র“টি, অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা