অনলাইন ডেস্ক
ঈদের পরদিন সিলেটের বিয়ানীবাজার থেকে জকিগঞ্জে ঘুরতে গিয়েছিলেন ফুয়াদ আহমদ। রাতে মোটরসাইকেলে করে বিয়ানীবাজারে ফিরছিলেন। একই সময় জকিগঞ্জের বাসিন্দা আদিল আহমদ, জাকারিয়া আহমদ ও এহছানুল হকও ঘুরতে বেরিয়েছিলেন মোটরসাইকেলে করে। কিন্তু বেপরোয়া গতিতে ছুটতে থাকা মোটরসাইকেল দুটির মধ্যে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের শাহবাগ মুহিদপুর এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত হন আরোহীরা। তাদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ফুয়াদের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর আদিল ও পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকারিয়াও মারা যান।
ঈদের তৃতীয় দিন সাভারের আমিনবাজারে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন মাইনুদ্দিন। কিন্তু বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
তাদের মতো আরও অনেকেই ঈদের ছুটির সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ছুটিতে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় মোটরসাইকেল চালকের পাশাপাশি অন্য যানবাহনের চালকদের অনেকেই দ্রুত গতিতে গাড়ি চালান। নানাভাবেই ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেন। ফলে দুর্ঘটনা ঘটে। পঙ্গু হাসপাতাল সহকারী পরিচালক ইসরাত জাহান শমী জানালেন, আহতদের বেশিরভাগের অবস্থাই আশংকাজনক।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগের বয়স ১৫ থেকে ২০ এর মধ্যে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ-বিআরটিএ’র তথ্য অনুযায়ি গত বছর ১ হাজার ৭৪৭টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মারা গেছেন ১ হাজার ১২০ জন। আর আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৯৫ জন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা