অনলাইন ডেস্ক
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়েপ এরদোগানের আমলে সামরিক খাতে ব্যাপক শক্তিশালী হয়েছে তুরস্ক। নিজেরাই তৈরি করছে যুদ্ধবিমান। যা বিভিন্ন দেশে বিক্রিও করছে দেশটি। পাশাপাশি সমর ভাণ্ডারে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের তৈরি অত্যাধুনিক সব ফাইটার জেট যুক্ত করার চেষ্টা করছে আঙ্কারা।
এর আগে, ২০২১ সালেও, লকহিড মার্টিন কর্পোরেশনের কাছ থেকে ‘এফ-১৬’ জেট কিনতে চেয়েছিলো তুর্কি সরকার। যাতে সায় ছিলো বাইডেন প্রশাসনের। যদিও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তা আটকে দেয় মার্কিন ফেডারেল সরকারের আইনসভা কংগ্রেস।
‘এফ-১৬’ পাওয়ার আশা এখনও ছাড়েননি এরদোগান। এই রাষ্ট্রপ্রধান জানান, বৃহস্পতিবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে ফোনালাপে ফাইটার জেট কেনার বিষয়ে বেশ ইতিবাচক কথা হয়েছে।
এরদোগানের ইঙ্গিত, সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদান ইস্যুতে তুর্কি সরকারের অবস্থানের ওপর নির্ভর করছে ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্ত।
এরদোগান আরও বলেন, ‘এফ-১৬’ বিক্রির বিষয়ে বাইডেন জানিয়েছে, তার দেশ এই ইস্যুতে বেশ ইতিবাচাক এবং তিনি কংগ্রেসের কাছে বিষয়টি নিয়ে প্রস্তাব উত্থাপনেও প্রস্তুত।
যদিও বাইডেন প্রশাসন রাজি হলেও তুরস্ককে তাকিয়ে থাকতে হবে মার্কিন কংগ্রেসের দিকেই। ধারণা করা হয়, ২০২১ সালে মার্কিন সিনেটর বব মেনেন্ডেজের নেতৃত্বেই কংগ্রেসে আটকে দেয়া হয়েছিলো তুরস্কের এফ-১৬ কেনার প্রক্রিয়া। সম্প্রতি, এক ঘুষ কাণ্ডে জড়িয়েছে মেনেন্ডেজের নাম। আর তাই বলা হচ্ছে, আঙ্কারার ফাইটার জেট পাওয়ার পথে বাধা অনেকটা দূর হয়ে গেছে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের সমর্থন থাকলেও তুরস্কের বিরোধিতায় ন্যাটোভুক্ত হতে পারছে না সুইডেন। তুর্কি পার্লামেন্টের শরৎকালীন অধিবেশেনে এই ইস্যুতে আলোচনা হওয়া কথা। এর আগেই, আঙ্কারার সমর্থন পাওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে সুইডেন ও তার মিত্ররা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা