জাপানি ধনকুবের ইউসাকো মায়েজাওয়ার বান্ধবী হতে আবেদনের সংখ্যা ২০ হাজারে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার আবেমা টেলিভিশন এমন খবর দিয়েছে। চন্দ্র অভিযানে ‘জীবন সঙ্গিনীর’ খোঁজ নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করছে এই টেলিভিশন।
এলন মাস্কের স্পেসএক্সের প্রথম ব্যক্তিগত যাত্রী হতে যাচ্ছেন এই জাপানি ধনকুবের। জাপানের সর্বপ্রথম টুইটার সেলিব্রেটি হিসেবে ফলোয়ারদের মধ্যে ৯০ কোটি ডলার ছাড় দেয়ায় সামাজিকমাধ্যমে তাকে নিয়ে ব্যাপক মাতামাতি হয়েছে।
আবেদনের ওয়েবসাইটে ‘ভালোবাসা শনাক্তকরণ পরীক্ষার’ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেখানে সম্ভাব্য আবেদনকারী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে নিজেকে কতটা খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন, তার পরীক্ষা করতে পারবেন।
জাপানি এই ধনকুবের গত বছর তার জোজো কোম্পানিকে সফটব্যাংক গোষ্ঠীর কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। ওয়েবসাইটে বহু নির্বাচনী প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে, ‘আপনি যদি একটি প্রাইভেট বিমানে চড়তেন, তবে কোথায় যেতেন?’
জাপানের সবচেয়ে অগ্রগামী রিয়েলিটি ডেটিং শোর আয়োজক আবেমা টেলিভিশন। কাজেই মায়েজাওয়ার ‘পূর্ণ চন্দ্রের প্রেমিকারা’ নামের এই শোয়ের মাধ্যমে টেলিভিশনটি এক ধরনের অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে।
এছাড়া টেলিভিশন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া তরুণ প্রজন্মকেও আকর্ষণ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে এতে।
ইউসাকো মায়েজাওয়ার ভাষ্য, জীবনকে পুরোপুরি উপভোগ করতে চান; এমন ২০ বছর বয়সী কিংবা তার ওপরের সিঙ্গেল নারীকে প্রেমিকা বানাতে চান তিনি। বলেন, এখন পর্যন্ত আমি যেভাবে জীবন-যাপন করতে চেয়েছি, ঠিক সেভাবেই করছি।
জাপানি এই ধনকুবেরের প্রেমিকা মিললে স্পেসএক্সের রকেটে চড়ে তার সঙ্গে চাঁদে ঘুরতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। তার এমন বিজ্ঞাপনের পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ২০ হাজারের বেশি তরুণী ধনকুবের ইয়োসাকু মায়েজাওয়ার প্রেমিকা হতে চেয়ে আবেদন করেছেন।
ইয়ুসাকু মায়েজাওয়ারের ওই বিজ্ঞাপনে বলা হয়- এখন আমার বয়স ৪৪ বছর। ধীরে ধীরে একাকীত্ব এবং শূন্যতা বোধ বাড়তে থাকায় আমার মনে হয়েছে, একজন নারীর সঙ্গে ভালোবাসা চালিয়ে যাওয়া উচিত। চাঁদে ভ্রমণের জন্য কেন আপনি প্রথম নারী হবেন না?
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা