তাসকিনা ইয়াসমিন
গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে নতুন কোন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। তবে, বর্তমানে দেশের হাসপাতালগুলোতে ২৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বৃহস্পতিবার ( ১৬ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপাররেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার এতথ্য জানান।
ডা. আয়শা আক্তার বলেন, প্রায় নয়মাস পর ডেঙ্গুর রিপাের্ট শূন্য আসল। গত এপ্রিল থেকেই টানা ডেঙ্গু
গতবছর যেভাবে ডেঙ্গু ঝুঁকি তৈরি শুরু হয়েছে। সেই এপ্রিল থেকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়া শুরু হয়েছে। মে মাসের পর প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছিল। ফিগারটা জিরোতে নামছিল না। এখন অনেক দিন পরে ফিগারটা জিরোতে নামল এটা সত্যি। গতবছর আমাদের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল অর্থাৎ ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত অনেকদিন আমরা জিরো ফিগার পেয়েছি। মাঝে মাঝে রোগী পাওয়া যেত। মে মাস থেকে বাড়া শুরু হওয়ার পর আর কমেনি।
সারা বাংলাদেশে এবার ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরও জিরোটা আসার পর অনেক বড় একটা ব্যাপার মনে করছি। আমাদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে অনেক কাজ তো হচ্ছে। এটা থেমে থাকবে না। কারণ ঝুঁকি তো আছেই।
ডা. আয়শা আক্তার জানান, ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ১৫২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১২৩ জন। ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে সর্বমোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৬ জন। অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে সর্বমোট ভর্তিরোগীর সংখ্যা ৩ জন।
ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইডিসিআর) এর প্রিন্সিপ্যাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. এ. এস. এম আলমগীর বলেন, দেশের তাপমাত্রা সকালবেলায় হয়ত ১৩ ডিগ্রি থাকে। দুপুরবেলায় ২৭ ডিগ্রি থাকে। তো এই টেম্পারেচারের একটা নির্দিষ্ট সময়ে মশার লার্ভা তৈরি হয়। এইজন্য কিছু ডেঙ্গু হবেই। কোন কিছুই তো শতভাগ নির্মুল করা সম্ভব হয়না। তাই, কিছু রোগী হতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবাইকে কাজ করতে হবে। নিজের বাড়িঘর নিজেকে পরিষ্কার করতে হবে। মশামুক্ত থাকার মাধ্যমে নিজেকে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম জানায়, ২০১৯ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩শ ৫৪ জন। এদেরমধ্যে ১৪৮ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এদিকে, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইডিসিআর) এর কাছে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুসন্দেহে ২৬৬ টি মৃত্যুর তথ্য প্রেরিত হয়েছে। এরমধ্যে আইইডিসিআর ২৩৪ টি মৃত্যু পর্যালোচনা সমাপ্ত করে ১৪৮ টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা