অনলাইন ডেস্ক
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের চৌরাস্তা মোড়ে আওয়ামী লীগের ‘শান্তি সমাবেশে’ তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। বিএনপির আগুন-সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও ও পদযাত্রার বিরুদ্ধে এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন করে জেলা আওয়ামী লীগ। যশোরে বিএনপির রোডমার্চের আগের দিনের এই শান্তি সমাবেশের নামে নিজেদের শক্তির মহড়া দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। জেলার আটটি উপজেলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে এই শান্তি সমাবেশ হয়।
সমাবেশে যশোরের বিএনপির নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শাহীন চাকলাদার বলেন, ‘আগামী ২০৪১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। যদি লন্ডন থেকে তারেকের কথা শুনে যশোরে বিশৃঙ্খলা করেন, তাহলে কিন্তু আপনারা বিপদে পড়বেন। আপনাদের নেতা কিন্তু বাঁচাবে না। যারা বিএনপি নেতাদের কথা শুনে ঢাকার সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন, পদযাত্রা রোডমার্চে অংশ নেবেন- তাদের আর যশোরে ফিরতে দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, আপনাদের বাড়ির পাশে কিন্তু অনেক আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীর বসবাস। তারা কিন্তু আপনাদের বাড়িঘর সব চিনে। ফলে পরবর্তীকালে কী ঘটবে সেটা আর এখানে বললাম না। কালকের রোডমার্চে যশোরে যদি আগুন-সন্ত্রাসী করেন, তাহলে কিন্তু খেলা হবে। তারেকের কথা শুনে যশোরে কিছু করলে (বিশৃঙ্খলা) বিপদে পড়বেন, মামলা খাবেন। মামলায় যদি না থামেন, তাহলে কিন্তু আমাদের কাছে মার খাবেন। যশোরের আট উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদককে নির্দেশ নিয়েছি, বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে খোঁজখবর রাখতে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে।’
সরেজমিন দেখা গেছে, শান্তি সমাবেশের মঞ্চ তৈরি করা হয় শহরের চৌরাস্তা মোড়ে থানার সামনে। এতে শহরের কেন্দ্রস্থল দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন শহরে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন। শহরে ঢোকার প্রধান সড়কে সমাবেশ করায় শহরজুড়ে তৈরি হয় তীব্র যানজট।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে অন্যদের বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন, ঝিকরগাছা-চৌগাছা আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন, কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল, সামিরুল ইসলাম পিয়াস ও আরশাদ পারভেজ, মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান, ঝিকরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাহমুদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল, কাউন্সিলর হাজী আলমগীর কবির সুমন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রওশন ইকবাল শাহী। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু।
এদিকে, শাহীন চাকলাদারের বক্তব্য প্রসঙ্গে যশোর জেলা বিএনপির একাধিক নেতার বক্তব্য চাইলে তারা এ প্রসঙ্গে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এমনকি নাম কোড না করার শর্তে বলেন, এসব হুমকি-ধমকির ওপরেই শাহীন চাকলাদার সাহেবরা টিকে আছেন। বিএনপি এসব হুমকি-ধমকির পরোয়া করে না জানিয়ে বিএনপি নেতারা বলেন, কয়েক মাস আগেও এই শাহীন সাহেব যশোরে এমন বক্তব্য দিয়ে বলেছিলেন যে, ভয়ে ফখরুল সাবেহ যশোরে আসছেন না, দেখা যাবে বিএনপির সমাবেশে কে আসে? অথচ, পরদিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে লাখ লাখ বিএনপি কর্মী কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন, আর শাহীন সাহেবরা বাড়ি বসে সাংবাদিকদের এসব লাইভ দেখেছিলেন। ফলে এবারও এসব হুমকি পরোয়া না করে বিএনপির রোড মার্চে অংশ নিবে যশোর বিএনপি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা