অনলাইন ডেস্ক
এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সেদিন থানায় যা ঘটেছে, সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নাঈম (আনোয়ার হোসেন) আহত হয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খবর এসেছি। এখনো তিনি (আনোয়ার) বেশ অসুস্থ। সুস্থ হতে আরও একটু সময় লাগবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এডিসি হারুন অর রশীদকে সরকার সাময়িক বরখাস্ত করেছে। মারধরের ঘটনায় জড়িত আরেকজন কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিটি সার্বিক ঘটনার তদন্ত করবে। কার কতটুকু দোষ, কে গিয়েছিল, কেন গিয়েছিল, সেটা তো পুরোপুরি বোঝা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, আমরা আপাতদৃষ্টে দেখেছি, একজন ছাত্রকে থানার ভেতরে মারধর করা হয়েছে, যেটা বেআইনি। এ কারণে আমরা অ্যাকশন (ব্যবস্থা) নিয়েছি। ঘটনাটি কেন ঘটল, ঘটনায় কে কে দোষী, কতটুকু দোষী সেটা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।
এদিকে, ডিবির অতিরক্তি কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, বারডেম হাসপাতালে এডিসি হারুনের অবস্থান জানতে পেরে সেখানে যান রাষ্ট্রপতির এপিএস মামুন। তিনি যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে যান। তাদের নিয়ে এডিসি হারুনের ওপর হামলা চালানোর তথ্য পাওয়া গেছে। ঘটনার তদন্তে এসব বিষয় আসা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
ডিবি প্রধান বলেন, ঘটনাটি একপাক্ষিকভাবে প্রচার হচ্ছে। সবপক্ষকেই জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা উচিত। জানান, এডিসি হারুনের ওপর হামলা করে তার চশমা ভেঙে দেয়া হয়। তিনিও আঘাতপ্রাপ্ত হন। তবে পরবর্তীতে এডিসি হারুনের নির্যাতনের দায় পুলিশ বাহিনী নিবে না।
এদিকে, বিএসএমএমইউর সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা মোহাম্মদ হোসাইন জানান, আনোয়ারের নাকের যে কন্ডিশন সেখানে সার্জারি করা লাগবে। আর কয়েকদিন পর সার্জারি করা হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাইমকে নির্যাতন করেন ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হারুন-অর-রশীদ ও তার সহকর্মীরা। রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শাহবাগ থানায় ওসির (তদন্ত) কক্ষে এই মারধরে নেতৃত্ব দেন এডিসি হারুন। এ ঘটনায় দুই দফা বদলির পর হারুন-অর-রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে ডিএমপি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা