অনলাইন ডেস্ক
দুদকের অনুসন্ধান সূত্র বলছে, দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে গুলজার আহমেদের ঢাকায় একাধিক বাড়ি, পূর্বাচলে প্লট, গাড়িসহ শতকোটি টাকার বেশি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তার ৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য-প্রমাণ দুদকের কাছে এসেছে। তিনি এসব সম্পদের মধ্যে অনেক সম্পদের তথ্য গোপন করেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের তথ্য-প্রমাণ এসেছে দুদকের কাছে। দুদকের উপপরিচালক মোশাররফ হোসেন মৃধা প্রথমে এ অভিযোগের অনুসন্ধান করেন। তিনি চলতি বছর অবসরে যাওয়ায় নতুন করে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় উপপরিচালক আলী আকবরকে। তিনি অভিযোগটি অনুসন্ধান শেষ করে মামলা করার সুপারিশসহ অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
দুদকের কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান গণমাধ্যমকে বলেছেন, অনুসন্ধানকালে আপন জুয়েলার্সের অংশীদার গুলজার আহমেদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়। তিনি সম্পদবিবরণী দাখিল করেন। অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য, আয়কর রিটার্ন ও সম্পদের বিবরণী পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুদকের তথ্যমতে, ২০১৭ সালের গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনার প্রায় এক মাস পর ৬ মে এক ছাত্রী বাদী হয়ে বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ, তার গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন, দেহরক্ষী রহমত আলী এবং শাফাতের দুই বন্ধু নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফ।
জানা গেছে, বনানীর একটি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে ৪ জুন আপন জুয়েলার্সের ডিএনসিসি মার্কেট, উত্তরা, মৌচাক, সীমান্ত স্কয়ার ও সুবাস্তু ইনম শাখাসহ পাঁচটি শোরুমে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। অভিযানকালে সেখান থেকে প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও ৪২৭ গ্রাম ডায়মন্ড অলংকার উদ্ধার করা হয়। পরে এসব অলংকার বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। চোরাচালানের মাধ্যমে আনা প্রায় ১৫ মণ স্বর্ণ ও ডায়মন্ডের ট্যাক্স ফাইলে অপ্রদর্শিত ও গোপন রাখার অভিযোগে আপন জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ২০১৭ সালের ১২ আগস্ট রাজধানীর গুলশান, রমনা, ধানমন্ডি এবং উত্তরা থানায় মোট পাঁচটি মামলা করা হয়। আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা এবং বাকি দুজনের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা করা হয়। মামলায় অভিযোগ করা হয় আপন জুয়েলার্স বিভিন্ন সময় সাড়ে ১৫ মণ স্বর্ণ ও ৭ হাজার ৩৬৯ পিস ডায়মন্ড কিনতে গিয়ে ১৯০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা পাচার করেছে। মামলায় ২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়।
জানা গেছে, চোরাচালান, শুল্ক ফাঁকি, মানি লন্ডারিং, ভ্যাট ফাঁকি, আয়কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন উপায়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের তপশিলভুক্ত হওয়ায় আইনি ব্যবস্থা নিতে অভিযোগটি দুদকে পাঠানো হয়। এর পরই দুদক অনুসন্ধানে নামে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা