বোখারী-শরীয়তপুরীর কমিটি ছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের অন্য কোন গ্রুপ অবৈধ বলে জানিয়েছে বোখারী শরীয়তপুরী।
সংগঠনের সভাপতি পীরজাদা পীর, মুক্তিযোদ্ধা বীর, আলহাজ্জ মাওলানা আখতার হোসেন বোখারী, সিনিয়ন সহ-সভাপতি আলহাজ্জ লায়ন মাওলানা আবু বকর ছিদ্দীক, সহ-সভাপতি আলহাজ্জ হাফেজ আব্দুস সাত্তার, সেক্রেটারী- কাজী মাওলানা মোঃ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী, জয়েন্ট সেক্রেটারী হাজী হাবীবুল্লাহ রূপগঞ্জী যৌথ বিবৃতিতে এইতথ্য জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কিছু সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের নামে কিছু লোক একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে এতে আহ্বায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলাবাহুল্য উক্ত কমিটি সম্পূর্ণ ভূয়া। কারণ এর কোন অফিসিয়াল গ্রহণযোগ্যতা নেই। এবং এটা আওয়ামী লীগের সাবেক দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ সাহেবের নির্দেশনারও খিলাফ। তারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির অফিসিয়াল অনুমোদিত আহ্বায়ক কমিটির কোন কাগজ দেখাতে পারবেনা এবং যারা ঐক্য প্রক্রিয়া করছে বলে দাবী করছে তারা সবাই আওয়ামী ওলামা লীগের পরীক্ষীত, ত্যাগী এবং জন্মলগ্ন থেকে পরিচালিত নয়। তাছাড়া অতীতে যারা চাঁদাবাজি, পবিত্র হজ্জের টাকা মেরে খেয়েছে তারাও এই কমিটির সাথে জড়িত। অনেকে নতুন, এমনকি বিএনপি, জামাত-শিবিরের লোকও এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এরই প্রেক্ষিত্রে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে- অফিসিয়াল অনুমতি ছাড়া তারা কিভাবে আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ ও প্রচার করে? তাদের এসব তৎপরতা মূলত জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নিজেদের স্বার্থ হাছিলের জন্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের শক্তি বিনষ্ট করার জন্য।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের নামে বেশ কিছু সুবিধাবাদী মহল অশুভ তৎপরতা শুরু করেছে। তাদের মধ্যে বিভিন্ন দু/একটা বিচ্ছিন্ন গ্রুপ এখন হালুয়া রুটির লোভে কিছু চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী এবং অসৎ লোক নিজেদের মধ্যে তথাকথিত ঐক্য ঘোষণা করে মনগড়া, উদ্ভট, ভিত্তিহীন, নিতান্ত দুর্বল একটা আহ্বায়ক কমিটির কথা প্রচার করছে। আমরা তাদের এ দাবী তীব্র নিন্দাভাবে, শক্তভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।
কারণ ২০০১ সালে পীরজাদা পীর, মুক্তিযোদ্ধা বীর, আলহাজ্জ আখতার হোসেন বুখারী সাহেবকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ কণ্ঠে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে এ সংগঠনকে এগিয়ে নিতে বলেন। এরপর গত রমজানেও আলেম ওলামাদের ইফতার মাহফিলে এবং গত ১৬ই ডিসেম্বর বাঙ্গভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেই অভিনন্দন জানান এবং একইসাথে এবারেও প্রধানমন্ত্রীর পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভাপতি হিসেবে এবং তার কমিটির দফতর সম্পাদক শেখ ছিলিপুরী সাহেবকে সরকারীভাবেই পবিত্র হজ্জে পাঠান।
উল্লেখ্য, এর আগের বছর জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা সিনিয়র সহ-সভাপতি লায়ন মাওলানা আবু বকর ছিদ্দীক্ব সাহেবকে, বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সেক্রেটারী কাজী মাওলানা মোঃ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী সাহেবকেও পবিত্র হজ্জে পাঠান। কাজেই যতক্ষণ পর্যন্ত জননেত্রী, প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ম, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা নতুন কোন নির্দেশনা না দিবেন ততক্ষণ পর্যন্ত পীরজাদা পীর, মুক্তিযোদ্ধা বীর, আলহাজ্জ মাওলানা আখতার হোসেন বোখারীই বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সভপতি। লায়ন মাওলানা মুহম্মদ আবু বকর সাহেব সিনিয়র সহ-সভাপতি। কাজী মাওলানা মোঃ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী সেক্রেটারী এবং তাদের কমিটির সবাই বহাল তবিয়তে থাকবেন এবং তাদের নেতৃত্বেই আগামী কাউন্সিলে সব আলেম ওলামা অংশ গ্রহণ করবেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা