অনলাইন ডেস্ক
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের সন্যাসীরচর এলাকায় নির্মিত হয়েছে ট্রমা সেন্টারটি। প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ট্রমা সেন্টারটি গত বছর নভেম্বরে উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অথচ এখন পর্যন্ত সেন্টারটি চালু হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মহাসড়কে দুর্ঘটনায় আহতদের আশপাশে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে, তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কিংবা ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এতে মাঝপথে অনেক রোগীর মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, ১৯ মার্চ সকালে এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুরে যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত হন। আহত হয় অনেকেই। ট্রমা সেন্টারটি চালু থাকলে দ্রুত আহতদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হতো। হয়তো আহতদের কেউ কেউ বেঁচেও যেতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল মোড়ল বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সুন্দর একটি স্বাস্থ্য সেবা দান কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে, এমনকি উদ্বোধনও করা হয়েছে। কিন্তু এটি চালু করা হচ্ছে না। এটি দ্রুত চালুর দাবি জানাচ্ছি।
ওই মহাসড়কের যাত্রীরা বলেন, প্রতিনিয়ত এ মহাসড়ক দিয়ে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াত করি। কিন্তু দুর্ঘটনায় কেউ আহত হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়ার স্থান নেই। দ্রুত ট্রমা সেন্টার চালু হলে অনেক প্রাণহানি কম হবে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত এটি জনস্বার্থে দ্রুত চালু করা।
জেলার সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খান জানান, ১১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ট্রমা সেন্টারটিতে দুজন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তাসহ ১৪ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স ও ফার্মাসিস্ট-টেকনিশিয়ানসহ ৩৪টি পদে জনবল থাকার কথা থাকলেও এখনও কোনো পদে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। তবে এটি চালুর জন্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট শাখায় চিঠি দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই চালু হবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা