অনলাইন ডেস্ক
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ‘নুনছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। এখানে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী রয়েছে দুই শতাধিক। তবে কেউই তাদের মায়ের ভাষার বর্ণমালা চেনে না। শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় পাঠদানের কথা থাকলেও খাগড়াছড়ির বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এমনই। শহরকেন্দ্রিক কিছু বিদ্যালয়ে মাতৃভাষায় পাঠদান চললেও, শহরের বাইরের বিদ্যালয়গুলোতে এই কার্যক্রম নেই বললেই চলে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ২০১৭ সালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় পাঠদান কার্যক্রম শুরু হলেও এ বিষয়ে শিক্ষকদের দেয়া হয়নি সরকারি কোনো প্রশিক্ষণ। বেসরকারিভাবে কিছু শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হলেও তা পাহাড়ে মাতৃভাষার শিক্ষা বিস্তারে ইতিবাচক কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।
ভাষা গবেষকরা বললেন, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে সরকারিভাবে শিক্ষকদের দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এছাড়া মাতৃভাষায় পারদর্শী শিক্ষক নিয়োগ এবং পাঠ্যবইকে আরও বেশি শিশুবান্ধব করে তুলতে হবে।
পর্যাপ্ত ও দক্ষ শিক্ষকের অভাব স্বীকার করে খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাহাব উদ্দিন এই কার্যক্রমকে গতিশীল করতে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা