পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, গত ১০ বছরে দেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৪৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদশের প্রবৃদ্ধি র্সবোচ্চ। আমরা গত দশকে দারিদ্র অর্ধেকে কমিয়ে এনেছি। কিন্তু আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। আমাদের পথ চলা শেষ হয়নি। এখনও কয়েক কোটি লোক দারদ্র্যিসীমার নিচে বসবাস করছ। দারিদ্র হচ্ছে অভিশাপ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার আগামী ৫ বছরে ৫ ভাগ দারিদ্র কমিয়ে আনতে চায়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার ( ৪ জানুয়ারি) ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ‘আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ- সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী বৃত্তি ও সিলেট গৌরব সস্মাননা ২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এই শিক্ষাবৃত্তি এবং সম্মাননা সাবেক র্অথমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমনের মা-বাবার নামে চালু আছে। প্রতিভা বিকাশ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ড. মোমেন উল্লেখ করেন, তাঁর বাবা আবু আহমদ আব্দুল হাফিজ আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং ন্যায় ও সত্যের পথে ছিলেন। তিনি কয়েকটি স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর বাবা ও মা দুজন’ই শিক্ষানুরাগী ছিলেন। তাঁর মা সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরী সিলেটে শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুণীজনের পদাঙ্ক অনুসরণ করলে দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা দেশমাতৃকার ভক্তি নিয়ে স্বদেশের কল্যাণে কাজ করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে স্বল্পসুদে শিক্ষা ঋণ চালু করার অনুরোধ করেছি। ছাত্ররা ঋণ নিলে দায়বদ্ধতা সৃষ্টি হবে। শিক্ষা শেষে র্কমজীবনে গিয়ে তারা এ ঋণ শোধ করে দেবে।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ২ হাজার শিক্ষার্থীকে এককালীন শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। তাছাড়া সিলেটের অধিবাসী ১৩ জন গুণী ব্যক্তিকে সিলেট গৌরব সম্মাননা-২০২০ প্রদান করা হয়।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন সমাজকল্যাণ সচিব মোহাম্মদ জয়নাল বারী, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা সচিব পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শামস্-উল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরিফুর রহমান অপু, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিবুর রহমান, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. এহছানে এলাহী, সড়ক পরবিহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসনে চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান, র্অথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কবিরুল ইজদানি খান, র্অথ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহুরুল ইসলাম রোহেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুল আমীন, রাজধানী উন্নয়ন র্কতৃপক্ষের অতিরিক্ত সচিব মো. শফিউল হক এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুকুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, গুণীজনকে স্বীকৃতি দেয়া জাতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়; এতে জাতি এগিয়ে যেতে পারে। তাছাড়া মেধাবীদের সুযোগ না দিলে তারা এগিয়ে যেতে পারবে না।
প্রতিভা বিকাশ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ এস এ মুইজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শায়েলা খাতুন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী, জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ঢাকার সভাপতি ড. এ. কে. আব্দুল মুবিন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিফা হাফিজা ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা