অনলাইন ডেস্ক
দক্ষিণ-পূর্ব চররুহিতা গ্রামের সমবায় সদস্য কৃষক মোহাম্মদ আলী চৌধুরী ওই ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগটি বিআরডিবির মহাপরিচালক, পরিচালক (সরেজমিন), পরিচালক (প্রশাসন), পরিচালক (অর্থ), যুগ্ম-পরিচালক (সিসিএম), উপ-পরিচালক (সমবায়), উপপরিচালক (বিআরডিবি), লক্ষ্মীপুর জেলা সমবায় কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের কাছে ডাক যোগে পাঠানো হয়।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিমাংশু বণিক অভিযোগের অনুলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অভিযুক্ত অন্যরা হলেন রায়পুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (বিআরডিবি) জামাল হোসেন পাটওয়ারী ও সদরের হিসাব রক্ষক (অতিরক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মনির হোসেন। জামাল সদরের অতিরিক্ত দায়িত্বে ছিলেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ৭টি দোকান নির্মাণের জন্য রফিকসহ অভিযুক্তরা অগ্রিম ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন। কিন্তু তারা ইউসিসিএলের ব্যাংক হিসেবে টাকাগুলো জমা করেননি। জোড়া বাড়ি ও গাছের লভ্যাংশের প্রায় ১১ লাখ ৪৭ হাজার টাকা উত্তোলন করেও তা ব্যাংক হিসেবে জমা দেওয়া হয়নি। বিসিক শিল্পনগরী এলাকা সংলগ্ন বিআরডিবির ৩ তলা ভবন ভাড়ার ২২ হাজার টাকা, প্রাক্তন পরিদর্শক শহিদের বকেয়া বেতনের ১ লাখ ১৭ হাজার, সাবেক পরিদর্শক মাধুরী রানী নাহার প্রায় ৫ লাখ টাকা, ইউসিসিএলের গুদামে থাকা ১২ মোটরসাইকেলসহ মালামাল বিক্রির প্রায় ৬ লাখ টাকা ও ভবানীগঞ্জে গুদাম ভাড়ার ৬৯ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন খাতের প্রায় ৩০ লাখ টাকা অভিযুক্তরা আত্মাসাত করেছেন।
ভূক্তভোগী সদর উপজেলার বিআরডিবির সাবেক পরিদর্শক মাধুরী রানী নাহা বলেন, আমি বকেয়া বেতনের এক টাকাও পাইনি। কেউ আমাকে কোন টাকা দেয়নি।
সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। নির্বাচন কেন্দ্রিক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমার ঋণ খেলাপিও নেই। সরকার মূল টাকা পরিশোধ করেছি। সুদের টাকা সরকার মওকুফ করে দিয়েছে।”
সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বিভাগের হিসাব রক্ষক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মনির হোসেন বলেন, দোকানঘর নির্মাণের জন্য আমি কোন টাকা নেইনি। অভিযোগের ঘটনাগুলোও আমার অজানা। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।
অভিযুক্ত রায়পুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জামাল হোসেন পাটওয়ারী বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। ভাইস চেয়ারম্যান ও হিসাবরক্ষক রসিদ (রিসিট) দিয়ে দোকানঘর নির্মাণের অগ্রিম টাকাগুলো নিয়েছেন। সেই টাকা ব্যাংক হিসেবে জমা দিয়েছেন কিনা তা আমার জানা নেই।
সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) হিমাংশু বণিক বলেন, আমি অভিযোগের একটি অনুলিপি পেয়েছি। এতে আমার কোন কিছু করার এখতিয়ার নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দেখবেন।
বক্তব্য জানতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেনের ফোনে একাধিকার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা