বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন) এর যৌথ উদ্যোগে এবং দেশের বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও পরিবেশ সপক্ষ সংগঠণের সহযোগিতায় শনিবার (৪ জানুয়ারি) পরিবেশ বিষয়ক সম্মেলেন অনুষ্ঠিত হবে।
দিনব্যাপী এ সম্মেলন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে (ধানমন্ডী ক্যাম্পাস, বাড়ী-৮৪, রোড-১১/এ, ঢাকা) অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলেনের শিরোনাম ‘‘বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলনের রাজনৈতিক কার্যকারিতা ঃ চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকার” ।
উক্ত সম্মেলনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, আয়োজন, ব্যবস্থাপনা, আলোচ্য বিষয়, উপস্থাপনা প্রভৃতি বিষয়ে দেশবাসী ও গণ মাধ্যমকে অবহিত করার লক্ষ্যে বাপা ও বেন এর পক্ষ থেকে বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১১টায়; ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর মিলনায়তন, সেগুনবাগিচা, ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাপা’র সভাপতি সুলতানা কামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাপা-বেন সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির সদস্য সচিব ও বাপা’র নির্বাহী সহ-সভাপতি ডা. মো. আব্দুল মতিন। এতে উপস্থিত ছিলেন বেন-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বাপা সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, যুগ্ম সম্পাদক শারমীন মুরশিদ, অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, আলমগীর কবির প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্য এ সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশ বিপর্ষয় নানাভাবে মানবিক বিপর্ষয় তৈরী করছে। তাই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে পরিবেশ আন্দোলনের ভূমিকা ও কার্র্যকারিতা বর্তমান সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়। গণ মাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাপা-বেন এর সন্মেলন এ অংশগ্রহণ করে মূল্যবান মতামত দেওয়ার আহ্বান জানান।
বাপার সহসভাপতি ও বেন এর প্রতিষ্ঠাতা ড. নজ্রুল ইসলাম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পরিবেশবাদী, রাজনৈতিক দল ও নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতেও পরিবেশ কিভাবে আরও প্রভাব বিস্তার করতে পাওে, আসন্ন বাপা-বেন সন্মেলেনে এ বিষয়ে একটি দিক নিদের্শনা উঠে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
উক্ত সন্মেলেন এ আরও বক্তব্য দেন শরীফ জামিল, শারমীন মুরশিদ ও ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
সম্মেলনের সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল মতিন সংবাদ সম্মেলনে একটি লিখিত বক্তব্য পেশ করেন। তাতে তিনি বলেন দীর্ঘ ১৯ বছরে বাপা-বেন এর আন্দোলনের অভিজ্ঞতায় এটি পরিস্কার যে, এই জনপ্রীয় পরিবেশ আন্দোলনটির কাজের সংখ্যা ও মাত্রার তুলনায় পরিবেশগত সাফল্য কাংখিত পর্যায়ের নয়। অথচ সারা বিশ্বের পরিবেশ আন্দোলনের চাপ আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে, আমাদের দেশের পরিবেশ সংকটও ক্রমবর্ধমান। তার প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবেশ আন্দোলন কাংখিত মাত্রায় প্রভাব বা কার্যকারিতা সৃষ্টি করতে পারেনি। উক্ত সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য ৪০টি প্রবন্ধ আয়োজকদের নিকট ইতোমধ্যেই জমা হয়েছে। যে সকল বিষয়ে আলোচনা হবে তা হচ্ছে নিন্মরূপ: (ক) বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলসমূহে পরিবেশ ইস্যুর গুরুত্ব; (খ) বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলসমূহের নীতি প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে পরিবেশ আন্দোলনের সাফল্য এবং বিফলতা; (গ) বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের রাজনৈতিক মডেলের পরিদৃষ্ট বৈচিত্র্য;(ঘ) উন্নত দেশসমূহে পরিবেশবাদীদের রাজনৈতিক মডেল এবং অভিজ্ঞতা; (ঙ) উন্নয়নশীল দেশসমূহে পরিবেশবাদীদের রাজনৈতিক মডেল এবং অভিজ্ঞতা; (চ) বাংলাদেশে পরিবেশবাদীদের “নির্দলীয়” মডেলকে আরও কার্যকর করার সম্ভাবনা ও উপায়; (ছ) বাংলাদেশে পরিবেশবাদীদের “দলীয়” মডেলের সমস্যা ও সম্ভাবনা; (জ) বাংলাদেশে পরিবেশবাদীদের “উপদলীয়” মডেলের সমস্যা ও সম্ভাবনা; (ঝ) বাংলাদেশের পরিবেশ আন্দোলনের রাজনৈতিক প্রভাব সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়।
জনাব আব্দুল মতিন বলেন: বিশেষজ্ঞ অধিবেশনে বিশেষজ্ঞদের প্রবন্ধ উপস্থাপিত ও আলোচিত হবে। সাধারণ অধিবেশনে যাঁরা বিশেষজ্ঞ নন, তাদের বক্তব্য উপস্থাপিত ও আলোচিত হবে। তবে এবারের সম্মেলনের বিষয়বস্তুর স্বকীয়তার জন্য এতে দেশের রাজনৈতিক দলসমূহের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি দেশের পরিবেশ আন্দোলনের সকল অংগ সংগঠন এবং নেতৃবৃন্দকে এই সম্মেলনে শামিল করতে হবে। উপর্যুক্ত বিবেচনায় এই সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণকারীরা হবেনঃ
(ক) পরিবেশ আন্দোলনের রাজনৈতিক দিক সম্পর্কে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ; (খ) পরিবেশ আন্দোলনের রাজনৈতিক দিক সম্পর্কে প্রবাসী ও বিদেশী বিশেষজ্ঞ; (গ) বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলসমূহের নেতৃবৃন্দ; (ঘ) পরিবেশ আন্দোলনের বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ; (ঙ) বাংলাদেশের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক, ও বেসরকারী সংগঠনের প্রতিনিধিরা; (চ) পরিবেশ নিয়ে আগ্রহী বাংলাদেশের তরুণ সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দ; (ছ) প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ; (জ) সংশ্লিষ্ট অন্যান্য।
এই সম্মেলনের উদ্বোধন থেকে শুরু করে সমাপনী পর্যন্ত সকল অধিবেশনেই অন্যান্য সকলের পাশাপাশি বিভিন্ন দল ও স্তরের রাজনীতিবিদদের আমন্ত্রণ জানানো জানানো হচ্ছে। বিষয়ে আরো জানার প্রয়োজন হলে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব, ডা. মো. আব্দুল মতিন (মোবাইল: ০১৮১৯-২২৩৩৪৩) এর সাথে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা