অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নওগাঁ সদর উপজেলার কলি মঙ্গলপুর গ্রামে মেয়ের বাড়ি থেকে আজাদুলকে গ্রেফতার করে বগুড়া থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত আজাদুল আদমদিঘী উপজেলার বশিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে।
জানাগেছে, গত ২৭ জুলাই রাতে বশিপুর গ্রামের বাড়ির একটি ঘরে স্ত্রী শামিমাকে নিয়ে আজাদুল ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডে বাড়ির দুইটি ঘর ভস্মীভূত হয়। পরদিন সকালে আদমদীঘি থানা পুলিশ আগুনে পোড়া ঘর থেকে স্ত্রী শামিমার পোড়া মরদেহের অংশ বিশেষ উদ্ধার করে। এসময় আজাদুলের মরদেহ পাওয়া যায়নি। আজাদুলের ছেলে রাকিব শ্বশুর বাড়িতে ঘর জামাই থাকায় ওই বাড়িতে তার বাবা- মা ছাড়া অন্য কেউ থাকতো না।
মায়ের মরদেহ উদ্ধারের পর আজাদুলের ছেলে পুলিশকে জানায়, ২৭ জুলাই রাত ১০টার দিকে তার মার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়। সে সময় তার বাবা ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। সেই অনুযায়ী তার ছেলে রাকিব এবং আজাদুলের ভাই রশিদুলের দাবি ছিল আজাদুলও তার স্ত্রী শামিমার সঙ্গে আগুনে পুড়ে মারা যায়। কিন্তু আজাদুলের মরদেহের কোন অস্তিত্ব না পাওয়ায় পুলিশের সন্দেহ হয়।
এঘটনায় নিহত শামিমার বড় ভাই আজিজার রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করেও আজাদুলের কোন অবস্থান নির্ধারণ করতে পারছিলেন না। এক পর্যায় বিভিন্নভাবে সোর্স নিয়োগ করে পুলিশ। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার আদমদীঘির পার্শ্ববর্তী নওগাঁ সদর উপজেলার কলি মঙ্গলপুর গ্রামে মেয়ের বাড়িতে আত্মগোপন করেন আজাদুল ইসলাম। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ঘটনার পর থেকেই আজাদুলের ভাই রশিদুল দাবি করে আসছিল তার ভাই আগুনে পুড়ে মারা গেছে। তিনি বারবার ভাইয়ের মরদেহ পুলিশের কাছে দাবি করে আসছিল।
তিনি আরও বলেন, ধারনা করা হচ্ছে আজাদুল ঘর থেকে বের হয়ে বাড়িতে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। তার দেওয়া আগুনে পুড়ে স্ত্রী শামিমা বেগম মারা যান। আজাদুলকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা