অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর খুচরা বাজারে কাঁকরোল, করলা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, বরবটি, চিচিংগা ও শসার কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একই অজুহাতে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ব্রয়লারের কেজিতে ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন মুরগি ব্যবসায়ীরা। প্রায় সব ধরনের মাছের দাম বেড়ে গেছে কেজি প্রতি ৩০ থেকে ১০০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁকরোল ৫৫-৬০, করলা ৭০-৮০, বরবটি ৬০-৬৫, কাঁচকলা ৩০-৩৫, আকার ভেদে মিষ্টি কুমড়া ৫০-৬০, গাঁজর ১২০-১৪০, বড়-ছোট হিসেবে লাউ ৬০-৭০, বরবটি ৭০-৭৫, পটোল ৬০-৬৫, টমেটো ১২০ এবং শসা ৭০ টাকা কেজিতে কিনছেন ক্রেতারা। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা দাবি করেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় বাজারে সবজির দামও বেড়েছে। পাইকারি পর্যায়ে প্রায় সব ধরনের সবজির কেজিতে ৩-৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে খুচরা পর্যায়ে গিয়ে ৮-১০ টাকা বাড়তিতে গিয়ে ঠেকছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে দাম আরও বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেক ব্যবসায়ী।
শনিবার রাজধানীর শান্তিনগর, হাতিরপুল, মহাখালী ও কারওয়ান বাজার সরেজমিনে ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. জব্বার বলেন, ‘পাইকারিতে হঠাৎ করে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। সরকার ডিজেল-পেট্রল-অকটেনের দাম বাড়িয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবজি নিয়ে আসা ট্রাকগুলোতে খরচ বেড়েছে। এজন্য সবজির কেজিপ্রতি খরচ বেশি পড়ায় দামটা বেড়েছে।’
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে শান্তিনগর কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী আসলাম উদ্দিন বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ানোর কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়তি। এখন যতটা না বেড়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা আরও বেড়ে যাবে। আজকে ৩৫-৪০ টাকায় কিনতে পারলেও কাল থেকে হয়তো কাঁচকলার হালি কিনতে হবে ৫০ টাকায়।’
এক দিনের ব্যবধানে মুরগির দামও ঊর্ধ্বমুখী। ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি ব্রয়লারে ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা বিক্রি করছেন। গত শুক্রবারও বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। ’
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রভাব মাছের বাজারেও পড়েছে। কারওয়ান বাজারের মাছের আড়ৎ ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি। সবজি বিক্রেতাদের মতো মাছ ব্যবসায়ীদেরও একই যুক্তি। ট্রাকের ভাড়া বাড়ায় সব ধরনের মাছের কেজিতে অন্তত ১০ টাকা বাড়িয়েছেন তারা। তাদের ভাষ্যমতে, ঢাকার ভেতরে এক বাজার থেকে আরেক বাজারের ট্রাক ভাড়া বেড়েছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।
বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি বড় রূপচাঁদা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০, পাবদা ৬০০, রুই মাছ ৩০০-৪৫০, তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকায়। কাচকি ৭০০, টেংরা ৬০০, পুঁটি ৮০০, গুলসা ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সর্বত্র। রাজধানীর কাঁচাবাজার গুলোতে প্রায় সবধরনের সবজি ও মাছের দাম বেড়ে গেছে। বিক্রেতারা দাম বাড়ার কারণ হিসেবে পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কথা বলছেন।জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সর্বত্র। রাজধানীর কাঁচাবাজার গুলোতে প্রায় সবধরনের সবজি ও মাছের দাম বেড়ে গেছে। বিক্রেতারা দাম বাড়ার কারণ হিসেবে পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কথা বলছেন।জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সর্বত্র। রাজধানীর কাঁচাবাজার গুলোতে প্রায় সবধরনের সবজি ও মাছের দাম বেড়ে গেছে। বিক্রেতারা দাম বাড়ার কারণ হিসেবে পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কথা বলছেন।জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সর্বত্র। রাজধানীর কাঁচাবাজার গুলোতে প্রায় সবধরনের সবজি ও মাছের দাম বেড়ে গেছে। বিক্রেতারা দাম বাড়ার কারণ হিসেবে পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কথা বলছেন।fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা