অনলাইন ডেস্ক
এর আগে দেশটির স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সংসদ ভবনে ভোট গণনা শুরু হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দ্রৌপদীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৫,৪০,৯৯৬ ভোটমূল্য। দ্রৌপদী ইতিমধ্যেই ভোটমূল্য পেয়ে গিয়েছেন ৫,৭৭,৭৭৭। জানা গেছে তৃতীয় রাউন্ড শেখে তিনি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। ভারতের সাবেক অর্থমন্ত্রী ও বিজেপির একসময়ের শীর্ষ নেতা যশোবন্ত সিনহা পেয়েছেন ২৭ শতাংশ ভোট।
এদিকে দ্রৌপদীর বিজয়ে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরের সামনে উৎসবের মেজাজ বিরাজ করছে। সেখানে বাজছে তাসা, চলছে মিষ্টিমুখ করার পালা। এর আগে গত ১৯ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লোকসভার ৫৪৩ ও রাজ্যসভার ২৩৩ সংসদ সদস্য এবং বিভিন্ন রাজ্যের ৪ হাজার ৩৩ জন বিধায়ক ভোট প্রদান করেন।
দ্রৌপদীর জন্ম ১৯৫৮ সালের ২০ জুন, ওডিশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বৈদাপোসি গ্রামে। সাঁওতাল পরিবারের এই কন্যার জীবন কখনো সেই অর্থে মসৃণ ছিল না। অভাবের সঙ্গে লড়াই ছিল এই পরিবারের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু তবু লেখাপড়া ছাড়েননি তিনি। স্নাতক হওয়ার পর ওডিশার এক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পান। দীর্ঘদিন বিনা ভাতায় শিক্ষকতা করার পর একটা সময় চাকরি ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। ময়ূরভঞ্জ জেলার রাইরঙ্গপুর নগর পঞ্চায়েতে কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন ১৯৯৭ সালে। ক্রমেই বিজেপিতে তাঁর উত্থান।
দলের তফসিল উপজাতি মোর্চার জাতীয় সহসভাপতি পদ পান। বিধানসভা ভোটে জিতে বিধায়ক হন। ২০০০ থেকে ২০০৪ সালে ওডিশায় বিজেডি-বিজেপি জোট সরকারে তিনি পরিবহন, বাণিজ্য, মৎস্য ও পশুপালন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ২০১৫ সালে তিনি ঝাড়খন্ডের রাজ্যপাল নিযুক্ত হন টানা ছয় বছরের জন্য।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হলে ২৫ জুলাই শপথ নেবেন নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা