ভারতের আসামের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। আসামের বেশিরভাগ জেলা পানিতে ডুবে গেছে। কোথাও-কোথাও একতলা পর্যন্ত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সমস্যায় পড়েছেন ধুবড়ি জেলখানার কর্তৃপক্ষ। ব্রহ্মপুত্রের পানিতে ডুবে গেছে জেলখানা। এ কারণে বাধ্য হয়েই ৪০৯ বন্দিকে নিয়ে ধুবড়ি গার্লস কলেজে আশ্রয় নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
ব্রহ্মপুত্রের পানি ঢুকে ধুবড়ি জেলার অবস্থা খুব খারাপ। যে রাস্তায় যানবাহন চলত, সেই রাস্তায় চলছে নৌকা। বেশিরভাগ এলাকায় বাড়ির একতলাও ডুবে গেছে জলে। ফলে বাধ্য হয়েই বাড়ির ওপরের তলায় আশ্রয় নিয়েছে মানুষ। নৌকা নিয়ে বেরিয়ে কোনও রকমে যেটুকু দরকার ততটুকু কিনে বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে মানুষ। যাদের একতলা বাড়ি, তারা বাধ্য হয়ে পাশের বাড়ি, নয়তো অন্য কোথাও গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন।
কারাবন্দিদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে
এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ধুবড়ি জেলের প্রধান কর্মকর্তা। কারণ, ব্রহ্মপুত্রের পানি জেলকেও ছাড় দেয়নি। জেলের ভেতর প্রায় এক মানুষ উঁচু পানি। জেলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের আবাসনও জলমগ্ন। এই অবস্থায় কোনও উপায় না দেখে ৪০৯ জন বন্দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ধুবড়ি গার্লস কলেজে। সঙ্গে গিয়েছেন কারা কর্মকর্তা ও পুলিশরাও। সবাই মিলে সেখানেই আশ্রয় নিয়েছেন।
৪০৯ বন্দির মধ্যে ৯ জন নারী বন্দি রয়েছেন। তাদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। রান্নাবান্না সবকিছু করা হচ্ছে কলেজের ভেতরেই। আপাতত কলেজই যেন জেলখানা। তবে স্থান পরিবর্তন হলেও কিন্তু পালিয়ে যাননি কোনও বন্দি।
পুলিশ বলছে, বাইরে বন্যার যে পানি, তাতে এই অবস্থায় পালানো যে বোকামি, তা বুঝতে পেরেছেন বন্দিরাও। তাই বাধ্য ছেলেমেয়ের মতো কলেজে রয়েছেন তারা।
সূত্র : দ্য ওয়াল
NB:This post is copied from kalerkantho
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা