অনলাইন ডেস্ক
সরেজমিনে দেখা গেছে, শহিদ মিনারটি ধুলোবালি মাখা ও রাজনৈতিক দলের নেতার পোস্টার লাগানো অবস্থায় পড়ে আছে। রাত থেকে সকাল এমনকি দুপুর পর্যন্ত কেউ আসেনি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে।
ময়মনসিংহের প্রথম শহিদ মিনারটির অবস্থান বর্তমানে সিটি করপোরেশন ভবনের পাশে জাদুঘরের সামনের মোড়ে। জায়গাটি পাঁচ রাস্তার মোড় হিসেবেও পরিচিত। বর্তমানে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে এখানে ‘স্মৃতি অম্লান’ নামে একটি সুদৃশ্য স্থাপত্য শিল্পকর্ম রয়েছে।
জানা যায়, ১৯৫৬ সালেই প্রথম শহিদ মিনারটি এখানে তৈরি হয়েছিল। যার উচ্চতা ছিল সর্বোচ্চ সাড়ে তিন ফুট। ষাট দশকের শেষ সময় পর্যন্ত সবাই এখানেই ফুল দিতেন।
নতুন প্রজন্মের অনেকেই জানেন না এই শহিদ মিনারে কথা। জাহাঙ্গীর আকন্দ নামে এক কলেজ ছাত্র জানান, ২১ ফেব্রুয়ারিতে সবাই টাউন হল প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দেয়। আমরাও সেখানে দিই।
ময়মনসিংহের সেচ্ছাসেবী সংগঠন জন উদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাড. নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, ‘সাধারণত ময়মনসিংহে ভাষা দিবসে প্রশাসন যেখানে আয়োজন করে সেখানে সবাই ফুল দিতে যায়। তবে ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে প্রথম শহিদ মিনারের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক এনামুল হক বলেন, ময়মনসিংহের প্রথম শহিদ মিনার সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন কমিটি এই শহরের সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে। প্রস্তুতি সভার মিটিংয়ে উদযাপন কমিটির কেউ এই বিষয়টি উপস্থাপন করেননি। তবে এখন আমি অবগত হওয়ায় বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা