রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় দুঃথ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই করে নতুন তালিকা ঘোষণা করা হবে।
এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি। সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না।’
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) শিল্পকলা একাডেমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষে উৎসর্গ করা মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম খানের ‘মুক্তিযুদ্ধ এবং আমি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনার পুরো দায় আমি নিজের কাঁধে নিচ্ছি এবং এর জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা করছি। বেশ কয়েকটি অভিযোগ ইতোমধ্যে আমাদের হাতে এসেছে। অভিযোগের পরিমাণ বেশি হলে তালিকা প্রত্যাহার করা হবে। এরপর তদন্ত করে আবার যখন নতুন করে তালিকা ছাপাবো, অবশ্যই দুঃখ প্রকাশ করে ছাপাবো।’
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে রাজাকারদের যে তালিকা পেয়েছি, সেটাই প্রকাশ করেছি। এটা আমরা তৈরি করিনি। জাতি এই তালিকা চেয়েছে, আমরা শুধু প্রকাশ করেছি মাত্র।
যারা এই তালিকাটি তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, একাত্তরে কারা এই তালিকা তৈরি করেছে তাদের খুঁজে বের করতে পারলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ১৫ ডিসেম্বর প্রথম দফায় সারাদেশের ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক। সেই তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামও পাওয়া গেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপুর নামও পাওয়া গেছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের করা রাজাকারের ওই তালিকায়।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা