অনলাইন ডেস্ক
এ বিষয়ে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টার পর থেকে আমরা সম্পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাব।
তিনি আরও বলেন, আমরা রোববার রাত থেকে কর্মসূচি শুরুর কথা বললেও সমস্যার সমাধানে আমাদের সোমবার দুপুর ১২টায় রেলভবনে মৌখিকভাবে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। কিন্তু রোববার কেন তারা আলোচনা করতে চান না তা বোধগম্য নয়।
এদিকে বিভিন্ন ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় ও যাত্রা বাতিল প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সর্দার শাহাদাত আলী বলেন, চালকরা ৮ ঘণ্টার বেশি ট্রেন চালাচ্ছেন না। চালক সংকটের কারণে মালবাহী ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোও একই কারণে ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে।
এর আগে রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারকে দেওয়া চিঠিতে রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক সমিতি নিজেদের কর্মসূচির কথা জানিয়েছিলেন।
ট্রেনের চালক (লোকো মাস্টার), গার্ড ও টিকিট পরিদর্শকদের (টিটি) রানিং স্টাফ বলা হয়। রেলের সংস্থাপন কোড অনুযায়ী, রানিং স্টাফরা দিনে আট ঘণ্টার বেশি দায়িত্ব পালন করলে বা ১০০ মাইলের বেশি ট্রেন চালালে একদিনের বেতনের সমপরিমাণ টাকা মাইলেজ বা রানিং ভাতা হিসেবে পাবেন। আর ভাতার ৭৫ শতাংশ টাকা যোগ হতো পেনশনে।
জনবল সঙ্কটের কারণে চালক, গার্ড ও টিটিদের দৈনিক কর্মঘণ্টা ১২ ঘণ্টা। গত ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনে জানায়, মাইলেজ ভাতা মূল বেতনের অংশ হিসেবে গণ্য হবে না। তা পেনশনেও যোগ হবে না। ভাতার পরিমাণ মাসিক মূল বেতনের বেশি হতে পারবে না।
এ প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবিতে রানিং স্টাফরা গত মাসেও দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি কাজ না করার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। তবে রেল সচিবসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা