অনলাইন ডেস্ক
রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিলটি সংসদে উত্থাপনের সময় মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থাকে সুষ্ঠ করতেই এই আইন। এই আইনে তাদের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে যারা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে এই বিলে জনমতের প্রতিফলন হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা।
১৭ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিতে পারেন মর্মে সংবিধানে একটি বিধান আছে। এই বিধানের আলোকেই আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ দিতে একটি সার্চ কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে আইনে। সার্চ কমিটি কর্তৃক প্রার্থীদের নাম সুপারিশের পর সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের খসড়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হওয়ার যোগ্যতা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, তাদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স হতে হবে কমপক্ষে ৫০ বছর। সরকারি-আধাসরকারি, বেসরকারি বা বিচার বিভাগে কমপক্ষে ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
খসড়া আইনে অযোগ্যতা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কোনো আদালতের মাধ্যমে অপ্রকৃতস্থ ঘোষিত হলে, দেউলিয়া ঘোষণার পর দায়মুক্ত না হয়ে থাকলে, প্রচলিত নিয়মের বাইরে অন্য কোনো রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব নিলে কিংবা অন্য কোনো রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার পদে নিযুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এছাড়া নৈতিক স্খলনজনিত কারণে ফৌজদারি আইনে দুই বছরের সাজা হলে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে কখনও দণ্ডিত হলে কিংবা প্রজাতন্ত্রের লাভজনক কোনো পদে অধিষ্ঠিত থাকলেও নির্বাচন কমিশনের সদস্য হওয়া যাবে না।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা