মানবতাবিদ্বেষী ‘নাগরিকত্ব’ আইনের প্রতিবাদে উত্তাল ভারত, আসামে কারফিউ
মানবতাবিদ্বেষী ‘নাগরিকত্ব’ আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সারাদিন ভারতের আসাম ও ত্রিপুরায় সকাল থেকে বিভিন্ন প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনীকে ডেকেছে। বিক্ষোভে অংশগ্রহণ কারি এক ব্যক্তি বলেন, ভারতীয় মুসলিমরা এমনিতেই খারাপ অবস্থায় আছে। এই নতুন আইন তাদেরকে আরো ক্ষতিগ্রস্থ করবে। কমপক্ষে ৭০০ ভারতীয় বুদ্ধিজীবী এই আইন বিরুদদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে। খবর : বিবিসি’র।
বুধবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে আগামী ২৪ ঘন্টার জন্য আসামের ১০টি জেলায় মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীকে ডাকার পর তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে ২ টি গ্রুপ ত্রিপুরায় থাকবে এবং একটি আসামে অবস্থান করবে। জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতের নাগরিকত্ব বিল- এই নতুন আইনে যে সব ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে গেছে তারা ভারতে থাকতে পারবেনা। তবে, হিন্দু ধর্মাবলম্বী বা অন্য ধর্মাবলম্বীরা ভারতে থাকতে পারবে। এই আইনের কারণে ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ সরকার চলে যাবার পর ভারতে অবস্থানকারি মুসলিম নাগরিকরা বিপদে পড়েছে।
তবে, ভারতের কোন রাজনৈতিক দল কোন বন্ধ বা হরতাল ডাকেনি। ভারতীয় টেলিভিশনগুলাে জানিয়েছে, বিভিন্ন স্থানে এই আইনের বিরুদ্ধাচারণ করে প্রতিবাদকারিদের সমাবেশে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে। বিক্ষোভকারিরা আহত হয়েছে। তারা গুয়াহাটি-শিলং রোডে ব্যারিকেডে দিয়ে রাখে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রানান্দু সনোয়াল এর নিজের শহর ছাবুয়াতে এই আইনের বিরোধীতা করে একটি মোটর সাইকেল র্যালী হয়েছে। গুয়াহাটি ইউনিভার্সিটি, কটন ইউনিভার্সিটি এবং দিব্রুগড় ইউনিভার্সিটিতে বুধবারের সকল পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।
very alarming news
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা