মিয়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণ ও গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) দায়েরকৃত মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগ এ এই শুনানি শুরু হয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকার ক্ষুদে মুসলিম দেশ গাম্বিয়া ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)’র সদস্যদের উৎসাহে গণহত্যার দায়ে মামলা করে মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক আদালতে তোলে। এর আগে মঙ্গলবার প্রথম দফায় মিয়ানমারের বিরুদ্ধে হেগের এ আদালতে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
মামলার শুনানিতে অংশ নিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি বলেন, দুঃখজনকভাবে রাখাইনের অসম্পূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর চিত্র উপস্থাপন করেছে গাম্বিয়া। এখানে শুধু অনুমানের ওপর ভিত্তি করে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে; যা হতে পারে না। সামরিক বাহিনীর অভিযানে রক্তপাত হলেও গণহত্যার মতো কিছু হয়নি। রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘন কোনোভাবেই মেনে নেবে না আমাদের সরকার। যখন দেশের বিচার ব্যবস্থা ব্যর্থ হবে, শুধু তখনই আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এর বিচার করতে পারবে।
তিনি বলেন, যেসব সেনার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যদি মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এমন কোনো কাজ করে; যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তাহলে দেশের সংবিধান অনুযায়ী তাদের বিচার হবে।
রাখাইন পরিস্থিতি জটিল এবং রোহিঙ্গারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে স্বীকার করেন সু চি। যে কারণে অনেকে নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশে পালিয়েছে। ২০১৭ সালের রক্তাক্ত অভিযানকে বারবার তিনি অভ্যন্তরীণ সংঘাত বলে দাবি করে আসছেন। সু চি বলেন, স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলার জবাবে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়েছে।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রক্তাক্ত এক সামরিক অভিযান চালিয়ে ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। রক্তাক্ত এই অভিযানে ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও চালানো হয়। মিয়ানমার তার আরাকান রাজ্যে বসবাসকারি রোহিঙ্গাদের উপর দমন নিপীড়ন চালিয়েছে দীর্ঘদিন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা